সারাদেশে নিত্যপণ্যের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। সবজি, মাছ, ডিম ও কৃষিপণ্যের বাজারও বাড়ছে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রচেষ্টা সত্ত্বেও দাম বাড়ার কারণ হিসেবে সড়কপথে পণ্য পরিবহনে চাঁদাবাজিকে দেখছেন ব্যবসায়ীরা। তাই দাম নিয়ন্ত্রণে রেলপথে পণ্য পরিবহনের পরিকল্পনা করছে সরকার।
এই রেলপথটি ১৫ টি অঞ্চল থেকে কৃষি পণ্য পরিবহন করে। তিনটি বিশেষ ট্রেনে ঢাকা-চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন অঞ্চলে সবজি, ফল, মাছ ও ডিম পৌঁছে দেওয়া হবে।
আগামী মঙ্গলবার থেকে ট্রেনে করে সবজি, মাছ, ডিম ও ফল পরিবহন করা হবে। সপ্তাহে একবার খুলনা, রাজশাহী ও পঞ্চগড় থেকে বিশেষ পার্সেল ট্রেন ছাড়ে। রেলওয়ে বলছে এটি মধ্যস্বত্বভোগী এবং বিক্রেতাদের দ্বারা সহিংসতা কমিয়ে দেবে। এ ছাড়া দামও কমবে এবং রাজধানীর বাসিন্দারা তাজা সবজি পেতে পারবেন।
রেলওয়ের মহাপরিচালক সরদার শাহাদাত আলী গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, ট্রেনের টিকিটের দাম তুলনামূলকভাবে সস্তা, পণ্যের মান বেশি এবং গন্তব্যে পৌঁছানো সহজ। তিনি বলেন, “রেলিং তুলনামূলকভাবে সস্তা।” এ লক্ষ্যে আপাতত খুলনা, রাজশাহী ও পঞ্চগড় হয়ে রুট নির্ধারণ করা হয়েছে। সপ্তাহে পণ্য নিয়ে ট্রেন চলাচল করবে একদিন।
চাহিদা বাড়লে ট্রেনে আরও ভ্যান যোগ করা হবে। ভাড়া ঠিক করা হয়েছে কেজি প্রতি ১ টাকা ৮০ পয়সা থেকে দুই টাকা।’
সরদার শাহাদাত আলী আরও বলেন: ট্রেনটি তেজগানে১২টা বা ১টার এর মধ্যে পৌঁছানোর জন্য সময়সূচি সমন্বয় করা হবে। কেউ যদি তাদের মালামাল ঢাকায় নিয়ে যেতে চায়, আমরা তাও করতে পারি।
এর আগে ২০২১ সালে এ ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি। আম এবং গবাদি পশু পরিবহনের জন্য বিশেষ ট্রেনও ব্যবহার করা হয়েছিল, কিন্তু কোন লাভ হয়নি।