ইয়েমেনে ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। হুথিদের ওপর এই বিমান এখন পর্যন্ত নারী, শিশুসহ ৩১ জন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া অন্তত ১০১ জন আহত হয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে মার্কিন বাহিনীগতকাল শনিবার থেকে হুতিদের ওপর জোরালো হামলা শুরু করেছে। খবর রয়টার্সের।
রোববার (১৬ মার্চ)হুথি পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আনিস আল-আসবাহি বলেন, মার্কিন হামলায় কমপক্ষে ৩১ জন নিহত এবং ১০১ জন আহত হয়েছেন, যাদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু।
হুথিদের রাজনৈতিক ব্যুরো এই হামলাগুলোকে ‘যুদ্ধাপরাধ’ হিসেবে বর্ণনা করেছে। এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আমাদের ইয়েমেনি সশস্ত্র বাহিনী মার্কিন এই হামলার প্রতিক্রিয়া জানাতে সম্পূর্ণ প্রস্তুত। জানুয়ারিতে ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে হুতিদের ওপর চালানো এটিই সবচেয়ে বড় মার্কিন সামরিক অভিযান।
এমন একসময়ে এই হামলা শুরু হলো, যখন ওয়াশিংটন নিষেধাজ্ঞা বাড়িয়ে তেহরানকে পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আলোচনায় বসতে বাধ্য করতে চেষ্টা করছে । ট্রাম্প হুতিদের সন্ত্রাসী আখ্যায়িত করে তার নিজস্ব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে বলেন, তোমাদের সময় শেষ, আজ থেকে অবশ্যই হামলা বন্ধ করতে হবে। যদি তোমরা এটা না করো তাহলে তোমাদের ওপর নরকের বৃষ্টি নেমে আসবে। যা আগে কখনো দেখোনি।
লোহিত সাগরে যুক্তরাষ্ট্র এবং দেশটির মিত্রদের বাণিজ্যিক জাহাজে হামলার কড়া জবাব দিতে এসব হামলা চালাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, জাহাজে হামলা বন্ধ না হলে ‘ভয়ংকর পরিণতি’ ঘটতে পারে।
২০২৩ সালের শেষ দিক থেকে ইরান সমর্থিত হুথিরা লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজ লক্ষ্য করে একের পর এক হামলা চালিয়ে আসছে। তাদের দাবি, গাজায় ইসরায়েলি হামলার শিকার ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে তারা এসব হামলা চালাচ্ছে।এর জবাবে ইয়েমেনে ‘মার্কিন বাহিনী চূড়ান্ত ও শক্তিশালী’ হামলা শুরু করেছে ।