ঈদুল আজহার মতো বিভিন্ন অনুষ্ঠানে মানুষ লাল মাংস বেশি খায়, বিশেষ করে গরুর মাংস, কিন্তু কিছু মানুষ গরুর মাংস খাওয়ার পর পেট ফাঁপা, অ্যাসিড রিফ্লাক্স, কোষ্ঠকাঠিন্য, বদহজম এবং অন্যান্য সমস্যার সম্মুখীন হন। গরুর মাংসের ভারী খাবারের পর এই চারটি ঘরে তৈরি রসের যেকোনো একটি ব্যবহার করে দেখুন।
গরম আদা-লেবুর চা
এটি কেন কাজ করে: আদা পাচক এনজাইমের নিঃসরণ বাড়ায় এবং প্রদাহ কমায়। লেবু পিত্ত উৎপাদন বাড়ায়।
রেসিপি:
১ কাপ উষ্ণ জল
১ টেবিল চামচ (চামচ) তাজা কুঁচি করা আদা বা ½ চা চামচ আদা গুঁড়ো
½ লেবুর রস
ঐচ্ছিক: ১ চা চামচ মধু
৫-১০ মিনিটের জন্য ভিজিয়ে রাখুন, তারপর ধীরে ধীরে পান করুন।
পুদিনা-শসা ঠান্ডা
কেন এটি কাজ করে: পুদিনা পেটের পেশী শিথিল করে এবং শসা শরীরকে ঠান্ডা এবং হাইড্রেট করতে সাহায্য করে।
রেসিপি:
১ কাপ ঠান্ডা জল
কয়েকটি পুদিনা পাতা
২-৩ টুকরো শসা
½ লেবুর রস
এটি ১০ মিনিটের জন্য রেখে দিন অথবা ব্লেন্ড করুন, তারপর চুমুক দিন।
কাঁচা পেঁপে স্মুদি
কেন এটি কাজ করে: পেঁপেতে পেপেইন থাকে, একটি এনজাইম যা প্রোটিন ভেঙে দেয় (যেমন গরুর মাংস)।
রেসিপি:
½ কাপ কাঁচা বা পাকা পেঁপে
১ কাপ জল বা নারকেল জল
এক চিমটি কালো লবণ বা আদা দিয়ে ব্লেন্ড করুন
আপেল সিডার ভিনেগার পানীয়
কেন এটি কাজ করে: ACV পাকস্থলীর অ্যাসিড বাড়ায় এবং প্রোটিন ভাঙতে সাহায্য করে।
রেসিপি:
১ টেবিল চামচ আপেল সিডার ভিনেগার (“মা” সহ)
১ কাপ উষ্ণ জল
ঐচ্ছিক: ১ চা চামচ মধু
খাওয়ার ১৫-৩০ মিনিট পরে পান করুন।
সেরা ফলাফলের জন্য টিপস:
ভারী খাবারের পরে ঠান্ডা পানীয়ের পরিবর্তে উষ্ণ বা ঘরের তাপমাত্রার তরল পান করুন।
ধীরে ধীরে চুমুক দিন – ঢোকবেন না।
মাংস-ভারী খাবারের পরপরই চিনিযুক্ত বা কার্বনেটেড পানীয় এড়িয়ে চলুন।
সুপারিশ
পেঁপে ওঠার জন্য: আদা চা বা পেঁপে স্মুদি
অবচয়ের জন্য: আদা চা বা এসিভি পানীয়
কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্য: কাঁচা পেঁপে স্মুদি ব্যবহার করে দেখুন
অ্যাসিড রিফ্লাক্সের জন্য: শুধুমাত্র পেঁপে স্মুদি – লেবু, পুদিনা এবং ভিনেগার এড়িয়ে চলুন