অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আসন্ন ১৩তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ৬৪টি জেলার জন্য পুলিশ সুপার (এসপি) চূড়ান্ত করেছে।
গতকাল, সোমবার, প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত লটারির মাধ্যমে এই নির্বাচন করা হয়েছে। শীঘ্রই তাদের পদায়ন করা হবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গতকাল যমুনায় লটারির সময় ভারপ্রাপ্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এবং ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মোহাম্মদ সাজ্জাত আলী উপস্থিত ছিলেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এবং প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন।
আজ, মঙ্গলবার, যোগাযোগ করা হলে, পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (প্রশাসন) একেএম আওলাদ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল যমুনায় লটারির মাধ্যমে ৬৪টি জেলার জন্য এসপি চূড়ান্ত করা হয়েছে। সরকারী আদেশ জারি হওয়ার পরে তাদের পদায়ন করা হবে।
নির্ভরযোগ্য পুলিশ সূত্র জানিয়েছে যে, পূর্বে এসপি হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তাদের বিবেচনা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। পুলিশ ক্যাডারের ২৫তম, ২৭তম এবং ২৮তম ব্যাচের কর্মকর্তাদের যাচাই-বাছাই করে একটি তালিকা তৈরি করা হয়েছিল। এই তালিকা থেকে লটারির মাধ্যমে ৬৪ জন এসপিকে নির্বাচিত করা হয়েছিল।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং পুলিশ সদর দপ্তরের একাধিক সূত্র জানিয়েছে যে, জাতীয় নির্বাচনের আগে এবং মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের রদবদলের জন্য প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ অনুসারে, যোগ্য কর্মকর্তাদের একটি তালিকা লটারি কমিটির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছিল।
লটারি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জেলা পদায়ন চূড়ান্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। ফলস্বরূপ, গত সপ্তাহে ছয়টি জেলায় নবনিযুক্ত এসপিদের যোগদান স্থগিত রাখা হয়েছিল। লটারির ফলাফল এখন বাস্তবায়িত হবে।
শনিবার, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং পুলিশের বেশ কয়েকজন উপদেষ্টা এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা রেঞ্জ ডিআইজি, জেলা এসপি এবং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের (ওসি) রদবদল নিয়ে আলোচনা করতে বৈঠক করেছেন।
সূত্র মতে, এসপিদের পদায়নের পর ওসিদেরও লটারির মাধ্যমে নিয়োগ করা হবে। ইউনিট প্রধানদের কাছ থেকে ইতিমধ্যেই সৎ, নিরপেক্ষ এবং যোগ্য পরিদর্শকদের তালিকা সংগ্রহ করা হয়েছে।
পুলিশ সদর দপ্তরের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, নির্বাচন-সম্পর্কিত পুলিশিং নিয়ে যে কোনও বিতর্ক এড়াতে লটারি পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। এটি মাঠ পর্যায়ে নিরপেক্ষ কর্মকর্তাদের মোতায়েন নিশ্চিত করতে সহায়তা করবে।
