আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার জানিয়েছেন, শুরুর পরপরই বাতিল হওয়া উচ্চ মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষার ফল অক্টোবরে প্রকাশ করা হবে।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “অক্টোবরের মাঝামাঝি ফলাফলপ্রকাশ করা হবে।
বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন ও সরকারের পতনের কারণে সাতটি বিষয়ে পরীক্ষা নেওয়ার পর বাকিগুলো আর নেওয়া সম্ভব হয়নি।
কীভাবে ফলাফল হতে পারে জানতে চাইলে তপন কুমার সরকার বলেন, “যে কয়টা বিষয়ের পরীক্ষা হয়েছে সেগুলোর উত্তরপত্র মূল্যায়নের মাধ্যমে হবে, এযেগুলোর পরীক্ষা হয়নি সেগুলোর এসএসসিতে প্রাপ্ত নম্বরগুলি বিষয় পত্রের মাধ্যমে মূল্যায়ন করা হবে।”
তিনি বলেন, বন্যা বা সহিংসতার কারণে কোনো উত্তরপত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি।
এ বছর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয় ৩০ জুন। তবে বন্যার কারণে সিলেটে পরীক্ষা শুরু হয় ৯ জুলাই।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় সারাদেশে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ায় গত ১৬ জুলাই রাতে স্কুল-কলেজ, কারিগরি কলেজসহ সব বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। ১৮ জুলাইয়ের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষাও স্থগিত করা হয়।
পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় আগামী ১ আগস্ট পর্যন্ত উচ্চ মাধ্যমিকের সব পরীক্ষা বাতিল করেছে আন্তঃবোর্ড সমন্বয় কমিটি।
সাধারণ পরিস্থিতিতে, মূল ঘোষণা অনুযায়ী এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা ৪ আগস্ট শুরু হতো। কিন্তু সেই পরীক্ষাগুলোও স্থগিত হয়ে যায়।
বারবার স্থগিত করার পরে,২০ শে আগস্ট নতুন তারিখে এই পরীক্ষা শুরু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। তবে শাসনের পতনের পর দাঙ্গায় বিভিন্ন পরীক্ষা কেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং প্রশ্নপত্র পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
স্থগিত পরীক্ষা ১১ সেপ্টেম্বর শুরু হওয়ার কথা থাকায় কর্মকর্তারা একটি নতুন সময়সূচীও ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু এখন যে সমস্ত শিক্ষার্থীরা প্রবেশিকা পরীক্ষা দিতে আগ্রহী ছিল না তারাও এই আন্দোলনে যোগ দিয়েছে।
এরপর তত্ত্বাবধায়ক সরকার অর্ধেক প্রশ্নসহ পরীক্ষা আরও দুই সপ্তাহ পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। প্রসঙ্গত, গত ২৯শে আগস্ট ৫ শতাধিক পরীক্ষার্থী প্রশাসনিক কেন্দ্রের কার্যালয়ে ঢুকে পরীক্ষা বাতিল ও পরীক্ষায় অংশ নিতে না দেওয়ার দাবি জানান। পরে ওই দিনই সরকার তাদের অনুরোধ মেনে নেয়।