২০২২ সালের স্নাতক (পাস কোর্স) ব্যাচের শিক্ষার্থীদের অটো-পাস (স্বয়ংক্রিয় পদোন্নতি) দাবিতে বিক্ষোভ চলাকালীন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি) এএসএম আমানউল্লাহ আক্রমণের শিকার হন।
আজ বুধবার দুপুর ১২:০০ টার দিকে গাজীপুর শহরের বোর্ড বাজার এলাকায় অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে প্রশাসনিক ভবনের প্রধান ফটকে এই ঘটনা ঘটে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সামান্য আহত হন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, উপাচার্য কিছু শিক্ষার্থীর উত্থাপিত অন্যায্য দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে কিছু শিক্ষার্থী উপাচার্যের উপর হামলা চালায়। তবে তিনি এখন ভালো আছেন।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সূত্র জানায়, ২০২২ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকে বিক্ষোভ করেছে এবং মানববন্ধন করেছে। তারা ক্যাম্পাসে অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা করছে। তবে তাদের প্রতিবাদ সত্ত্বেও, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের স্বয়ংক্রিয় পদোন্নতি না দেওয়ার কঠোর অবস্থানের কারণে ডিগ্রি পাস কোর্স পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরীক্ষার্থীদের মধ্যে প্রায় ৬৯ শতাংশ পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন।
এরপর সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ শুরু করে কয়েকজন শিক্ষার্থী। দুপুর ১২টা নাগাদ বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের গাড়ি ক্যাম্পাসে প্রবেশে বাধা দেয়। এক পর্যায়ে তারা উপাচার্যের উপর হামলা চালায়। পরে আনসার সদস্য ও কর্মকর্তারা তাকে উদ্ধার করে। হামলায় উপাচার্য সামান্য আহত হন।
জানা গেছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাব এবং রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে এই ব্যাচের শিক্ষার্থীদের ইতিমধ্যেই পরীক্ষায় গ্রেস নম্বর দেওয়া হয়েছে। তাদের উত্তরপত্র পুনঃপরীক্ষার সুযোগও দেওয়া হয়েছে। ফলাফল এই মাসে প্রকাশের কথা রয়েছে। তবে, বিভিন্ন মহল থেকে উস্কানি পেয়ে, ওই ব্যাচের কিছু ফেল করা শিক্ষার্থী অটো প্রমোশনের দাবিতে উপাচার্যের উপর হামলা চালিয়েছে।
এ বিষয়ে গাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলী মোহাম্মদ রাশেদ বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের উপর হামলার ব্যাপারে তিনি এখনও কোনও অভিযোগ পাননি। এই ঘটনার ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই প্রতিবেদক জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এএসএম আমানুল্লাহর সাথে ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছেন, তবে তিনি কোনও সাড়া দেননি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, কোনও অবস্থাতেই শিক্ষার্থীদের অটো প্রমোশন দেওয়া হবে না। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ হামলাকারীদের চিহ্নিত করে গাছা থানায় মামলা দায়েরের উদ্যোগ নিয়েছে।