বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) নেতা ইশরাক হোসেনের সমর্থকরা আজ সোমবার টানা পঞ্চম দিনের মতো ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) সদর দপ্তর নগর ভবনের প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন। তাদের নেতাকে সিটি কর্পোরেশনের মেয়র হিসেবে নিয়োগের দাবিতে।
তারা সকাল ১০:০০ টা থেকে বিকাল ৪:৩০ টা পর্যন্ত গুলিস্তানের মাজার এলাকায় ট্রাক ও রশি দিয়ে রাস্তার একপাশে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে, যার ফলে গুলিস্তান-সদরঘাটার সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
বিক্ষোভ চলাকালীন ইশরাকের সমর্থকরা গুলিস্তান মাজার থেকে পুলিশ সদর দপ্তর পর্যন্ত পুরো এলাকা দখল করে রেখেছিল।
নগর ভবন থেকে জিরো পয়েন্ট এলাকা পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে স্থাপিত অ্যামপ্লিফায়ার থেকে জোরে স্লোগান দেওয়া হচ্ছিল।
ছোট ছোট মিছিলও বের করা হয়েছিল। নগর ভবনের প্রধান ফটকের সামনে প্রতিবাদ সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়েছিল।
রবিবার তারা ‘ঢাকাবাসী’ (ঢাকার বাসিন্দা) ব্যানারে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছিল।
মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত নগর ভবনের প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন প্রাক্তন সচিব মশিউর রহমান।
গেজেট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরও স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভূঁইয়াঁর ‘হস্তক্ষেপের’ কারণে তাদের নেতার শপথ গ্রহণ করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন ইশরাকের সমর্থকরা।
উপদেষ্টা নগর ভবনেই তার অফিসিয়াল কাজ করেন কারণ সেখানে তার অস্থায়ী অফিস অবস্থিত। তবে, ইশরাকের সমর্থকদের ক্রমাগত বিক্ষোভের কারণে তিনি অফিসে অনুপস্থিত ছিলেন।
বিক্ষোভকারীরা বলেছেন যে ইশরাক হোসেন শপথ গ্রহণ না করা পর্যন্ত তারা তাদের বিক্ষোভ চালিয়ে যাবেন। প্রয়োজনে তারা কঠোর অবস্থান নেবেন বলে তারা জানিয়েছেন।
১ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের শেখ ফজলে নূর তাপস বিএনপির ইশরাক হোসেনকে প্রায় ১,৭৫,০০০ (১.৭৫ লক্ষ) ভোটে পরাজিত করেন।
তবে চলতি বছরের ২৭ মার্চ একটি নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল সেই ফলাফল বাতিল করে এবং ইশরাক হোসেনকে বৈধভাবে নির্বাচিত মেয়র ঘোষণা করে।
এর আগে শনিবার, ইশরাকের সমর্থকরা নগর ভবনের প্রধান ফটক এবং ভবনের ভেতরে অবস্থিত বেশ কয়েকটি বিভাগের অফিসে তালা ঝুলিয়ে দেয়। ফলস্বরূপ, সমস্ত নাগরিক পরিষেবা কার্যক্রম স্থগিত করা হয়।
নগর ভবন ছাড়াও, শনিবার ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ১০টি আঞ্চলিক অফিসও তালাবদ্ধ করা হয়।
ফলস্বরূপ, ওই অফিসগুলি থেকে প্রদত্ত নাগরিক পরিষেবা হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায়। এই পরিষেবাগুলির মধ্যে রয়েছে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন, ট্রেড লাইসেন্সের আবেদন এবং নবায়ন, কর পরিশোধ ইত্যাদি।
