প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, ‘বিভিন্ন ধরনের রিলিফ বা ত্রাণের আশায় অনেক বাংলাদেশি নাগরিক স্বেচ্ছায় রোহিঙ্গা হয়েছেন। কক্সবাজার এলাকায় বাড়ি বাড়ি ভোটার তালিকা করতে গিয়ে এমন তথ্য পেয়েছি।’
আজ সোমবার নগরীর ইটিআই ভবনে রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন ডেমোক্রেসি আরএফইডি’র নবনির্বাচিত কমিটির অভিষেক ও বিদায়ী কমিটির বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
সিইসি বলেন, “আমরা রোহিঙ্গাদের ভোটার হওয়া ঠেকানোর চেষ্টা করছি। কিন্তু শুধুমাত্র রিলিফ পাওয়ার জন্য স্বেচ্ছায় রোহিঙ্গা হয়েছে অনেকে স্থানীয়। রোহিঙ্গাদের সঙ্গে স্থানীয়দের বিয়ের ঘটনাও বাড়ছে। কোনো ক্ষেত্রেস্বামী রোহিঙ্গা, স্ত্রী বাংলাদেশি। আবার স্ত্রী বাংলাদেশি, স্বামী রোহিঙ্গা। এমন তথ্য আমরা পাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, ‘সুন্দর ভোটের জন্য ভোটার লিস্ট স্বচ্ছ করা দরকার। তালিকায় প্রায় ১৭ লাখ মৃত ভোটার ছিল। ওরাই কবর থেকে ভোট দিয়েছে। কবরবাসীও ভোট দিত। মৃত ভোটার আমাদের ধারণার বাইরে ছিল। এছাড়া ৩৬ লাখ যোগ্য নাগরিক এখনো ভোটার হতে পারেননি। এগুলো বাদ পড়ে যেত।
সাংবাদিকদের সংগঠনগুলোতে সঠিক ভোট হয় জানিয়ে তিনি বলেন, , যদি সাংবাদিকদের মতো নির্বাচন করতে পারতাম, ভালো হতো। সাংবাদিকদের সংগঠনের ভোটে কোনো ঝামেলা নাই, কারচুপি নাই, অভিযোগও নাই। আমরা অবাধ তথ্যপ্রবাহ চাই।