২০২৫ শিক্ষাবর্ষের জন্য, দেশের সকল সরকারি-বেসরকারি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৭৬ দিনের ছুটি স্থাপিত হয়েছে।
সোমবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের উপসচিব মোসাম্মৎ রহিমা আক্তার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বার্ষিক কর্মসূচি ও ছুটির তালিকা প্রকাশ করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রমজানের পবিত্র ছুটি শুরু হচ্ছে ২ মার্চ। এই সময়ে ঈদ-উল-ফিতর, জুমাতুল বিদা এবং স্বাধীনতা দিবসসহ অন্যান্য ছুটিসহ টানা ২৮ দিন স্কুল বন্ধ থাকবে। দীর্ঘ ছুটির পর ৮ এপ্রিল ক্লাস শুরু হবে। এছাড়া ১ জুন থেকে ১৯ জুন পর্যন্ত টানা ১৫টি ঈদুল ফিতরের ছুটি এবং গ্রীষ্মকালীন ছুটি পালিত হয়েছে। দুর্গাপূজাকে ৮ দিনের উৎসব হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে যার মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ধর্মীয় কর্মকাণ্ড। লক্ষ্মী পূজা এবং ফাতেহা-ই-ইয়াজ দাহম।
প্রতি বছরের মতো এ বছরও স্কুলের অধ্যক্ষকে তিন দিনের বিশেষ ছুটি দেওয়া হয়েছে। স্কুলের কর্মকর্তারা প্রয়োজনে এই ছুটি বিতরণ করতে পারেন। এছাড়াও, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবসে নিয়মিত সরকারি ছুটির পাশাপাশি ধর্মীয় স্মরণের দিনও থাকবে।
নির্দেশনাগুলোর মূল বিষয়:
১. শিক্ষাবর্ষ শুরু হবে ১ জানুয়ারি ২০২৫ এবং শেষ হবে ৩১ ডিসেম্বর। নির্ধারিত সময়ে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ নিশ্চিত করতে হবে।
২. অর্ধ-বার্ষিক, প্রাক-নির্বাচনি, নির্বাচনি ও বার্ষিক পরীক্ষার সময়সূচি মেনে পরীক্ষা গ্রহণ ও উত্তরপত্র এক বছর সংরক্ষণ করতে হবে।
৩. পাবলিক পরীক্ষার বাইরে বিদ্যালয়ের নিজস্ব প্রশ্নপত্র প্রণয়ন বাধ্যতামূলক।
৪. কোনো বিশেষ কারণ ছাড়া পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তন করা যাবে না, তবে প্রয়োজন হলে পূর্ব অনুমতি নিতে হবে।
৫. শুক্রবার ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির বাইরে বছরে মোট ৭৬ দিন ছুটি থাকবে।
৬. সরকারি কর্মকর্তার পরিদর্শন বা সংবর্ধনার জন্য বিদ্যালয় ছুটি দেওয়া যাবে না এবং শিক্ষার্থীদের ক্লাসে বাধা সৃষ্টি করা যাবে না।
৭. ছুটির সময় ভর্তি কার্যক্রম ও অন্যান্য পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনে বিদ্যালয় খোলা রাখা যাবে।
৮. এসএসসি পরীক্ষার সময় ব্যতীত অন্যান্য বিদ্যালয়ে ক্লাস স্বাভাবিকভাবে চলবে।