জুলাইয়ের বিদ্রোহের সময় সংঘটিত গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে।
তদন্ত সংস্থা আজ, সোমবার, ট্রাইব্যুনালের প্রধান প্রসিকিউটরের কার্যালয়ে প্রতিবেদন জমা দেয়।
প্রধান প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম পরে ট্রাইব্যুনালে এক সংবাদ সম্মেলন করে সাংবাদিকদের এই অগ্রগতি সম্পর্কে অবহিত করেন।
দাখিল করা তদন্ত প্রতিবেদনে শেখ হাসিনা ছাড়াও মামলায় প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এবং তৎকালীন পুলিশ মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকেও অভিযুক্ত করা হয়েছে।
নিয়ম অনুযায়ী, ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা প্রথমে প্রধান প্রসিকিউটরের কার্যালয়ে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। এরপর প্রধান প্রসিকিউটর প্রতিবেদন পর্যালোচনা করেন এবং মূল্যায়নের পর আনুষ্ঠানিকভাবে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দাখিল করেন।
গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের দিকে পরিচালিত গণঅভ্যুত্থানের পর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সংস্কার করা হয়।
নবগঠিত ট্রাইব্যুনালে প্রথম মামলাটি শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বিদ্রোহের সময় সংঘটিত হত্যা ও গণহত্যা সহ মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দায়ের করা হয়।
এই মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময় তিনবার বাড়ানো হয়েছে। সবশেষে, রাষ্ট্রপক্ষ (প্রসিকিউশন) ২০ এপ্রিল প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সময় বাড়ানোর আবেদন করে।
সেই আপিলের প্রেক্ষিতে, ট্রাইব্যুনাল এই মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময়সীমা দুই মাস বাড়িয়ে দেয়। এরপর ট্রাইব্যুনাল ২৪ জুনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময়সীমা নির্ধারণ করে। কিন্তু, তদন্ত সংস্থা সময়ের আগেই প্রতিবেদন দাখিল করে।
এই মামলা ছাড়াও, ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরও দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্যে একটিতে আওয়ামী লীগ সরকারের সাড়ে ১৫ বছরের ক্ষমতায় থাকাকালীন শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক গুম ও হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে।
অন্য মামলাটি রাজধানীর মতিঝিল এলাকার শাপলা স্কয়ারে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দায়ের করা হয়েছে।