শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর থেকে ভিসা সমস্যা এবং বিমানবন্দরে হয়রানি বা আটকের ভয়ে অনেকেই ভারতে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন। যাত্রী সংকট এতটাই তীব্র যে সম্প্রতি একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইট মাত্র 12 জন যাত্রী নিয়ে কলকাতায় উড়েছে। অবশেষে, খরা ভারতে নভোএয়ারের ফ্লাইট বন্ধ করে দেয়।
সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) থেকে ঢাকা থেকে কলকাতা পর্যন্ত এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে।
এয়ারলাইনটির ভারতে সপ্তাহে সাতটি ফ্লাইট ছিল। শুধু এই ফ্লাইটেই ঢাকা-কলকাতা রুটে প্রায় ২১০০ যাত্রী যাতায়াত করছিলেন। গত মাসের তুলনায় মাত্র তিনটি ফ্লাইট থাকলেও পাওয়া যাচ্ছিল না অর্ধেক যাত্রীও।
একই অবস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সেরও। পূর্বে, কলকাতা রুটে সাপ্তাহিক ১৪ টি ফ্লাইট ছিল। সেই সংখ্যা এখন সাতটিতে নামিয়ে আনা হয়েছে। এছাড়াও, চেন্নাই-দিল্লি রুটে ফ্লাইটও কমিয়ে দেওয়া হয়েছে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের জনসংযোগ ব্যবস্থাপক বুশরা ইসলাম বলেন, ঢাকা-কলকাতা, চেন্নাই ও দিল্লি রুটে ৪০ থেকে ৪৮ শতাংশ যাত্রী ধারণক্ষমতা রয়েছে।
অনেকের দাবি, ভারত কম ভিসা দেয়। বিমানবন্দরের কঠোর নিয়মের কারণে ভিসা নিয়েও অনেকে সেখানে যেতে পারেন না। যাত্রী সংখ্যা ধারণক্ষমতার অর্ধেকেও পৌঁছায়নি।
নভোএয়ারের মার্কেটিং অ্যান্ড সেলস ম্যানেজার মসবাউল ইসলাম বলেন, প্রতিদিন একটি করে ফ্লাইট রয়েছে। যাত্রী সংখ্যা কম থাকায় আন্তঃ-হল ফ্লাইট সপ্তাহে তিনবার কমিয়ে আনা হবে। যাত্রী সংখ্যা এখন একেবারেই কমে গেছে। তাই এ অবস্থায় আপাতত স্থগিত করা ছাড়া আমাদের কোনো উপায় নেই।
তিনি বলেন, পরিচালন ব্যয় না বাড়িয়ে তিনি বিমান পরিচালনা করতে পারবেন না। তিনি বলেন: পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে এবং ভিসা প্রদান স্বাভাবিকভাবে চলতে থাকলে ফ্লাইট অপারেশনের বিষয়টি আবার পর্যালোচনা করা হবে।