বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নেতিবাচক কথা-বার্তার কারণেই ফ্যাসিবাদ আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে।
শনিবার (৯ নভেম্বর) দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে ন্যাশনাল ইয়ুথ ফোরামের উদ্যোগে ‘বাংলাদেশ ইয়ুথ পার্লামেন্ট ২০২৪’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন আপনারা লক্ষ্য করে দেখবেন, বিভিন্ন রকম নেগেটিভ কথাবার্তার কারণে কারণে ফ্যাসিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে শুরু করেছে। এটি বিভিন্ন জায়গায় এবং দুর্ভাগ্যবশত কিছু মিডিয়াতেও বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়। আমি মনে করি না এটা মানুষের কোন উপকার করবে। আপনি যদি এমন প্রচারণা চালান তবে দয়া করে এটি বন্ধ করুন।
মির্জা ফখরাল বলেন, গত তিন মাসে তারা (অন্তবর্তীকালীন সরকার) অনেক কাজ করেছেন। তারা সংস্কার করেছে, নিয়ম পরিবর্তন করেছে এবং নিয়মের উপর কাজ করার জন্য কমিশন তৈরি করেছে। ফ্যাসিবাদের বেশ কয়েকজন দোসর গ্রেফতার করা হয়। বিচারের জন্য ব্যবস্থা নিচ্ছেন।
তিনি বলেন যে আমাদের অবিলম্বে একটি জিনিস মনে রাখতে হবে: আমাদের এই সময় উপস্থাপিত সুযোগটি মিস করা উচিত নয়। এ সুযোগ হাতছাড়া হলে জাতি হিসেবে আমাদের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়বে। আমি এ কথাটা জোর দিয়ে বলতে চাই।
ফখরুল আরও বলেন, আওয়ামী লীগের সৃষ্ট বিশৃঙ্খলা দূর করে অন্তর্বর্তী সরকার অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন করবে। নির্বাচনের মাধ্যমে আমরা তরুণদের জন্য নতুন বাংলাদেশ গড়তে পারব।
বারবার নির্বাচনের কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, ‘আমি গণতন্ত্রে মৌলিকভাবে বিশ্বাসী একজন ব্যক্তি। আমি বিশ্বাস করি, জনগণের অংশগ্রহণ ছাড়া কোনো সংস্কার সফল হতে পারে না। নির্বাচিত সংসদের মাধ্যমে জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণ সম্ভব। এটি সফল হলে, সমস্ত বিষয় গণতান্ত্রিক অনুশীলনে রাখা যেতে পারে। সমস্যাটা ওই জায়গায়, বাংলাদেশে গণতন্ত্র চর্চা না হওয়ার কারণে এখানে গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি গড়ে ওঠেনি। প্রত্যেকের মধ্যে কেমন যেন একটা স্বৈরতান্ত্রিক চিন্তাভাবনা একদম বাসা বেঁধেছে।