ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) পঞ্চগড়ের তিনটি সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে নারী ও শিশুসহ ১৮ জনকে বাংলাদেশে ঢুকতে বাধ্য করেছে।
বুধবার ভোর থেকে ভোর পর্যন্ত, সদর উপজেলার অমরখানা ইউনিয়নের ভিতরগড় সীমান্ত দিয়ে ছয়জন, চাকলাহাট ইউনিয়নের জয়ধরভাঙ্গা সীমান্ত দিয়ে সাতজন এবং তেতুলিয়া উপজেলার ভজনপুর ইউনিয়নের শুকানি সীমান্ত দিয়ে পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে।
যাদেরকে ফেরত পাঠানো হয়েছে তাদের মধ্যে ছয়জন পুরুষ, চারজন মহিলা এবং আটজন শিশু রয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের সময় তারা জানিয়েছে যে তারা নড়াইল জেলার কালিয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা। প্রাপ্তবয়স্করা ভারতের বিভিন্ন স্থানে কাজ করছিলেন। ২৪ জুন, গুজরাটে ভারতীয় পুলিশ তাদের আটক করে। তারপর বিমান এবং বাসে করে সীমান্ত এলাকায় নিয়ে যায় এবং বিএসএফ তাদের বাংলাদেশে ঢুকিয়ে দেয়।
পঞ্চগড় ১৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মনিরুল ইসলাম এবং নীলফামারী ৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শেখ মো. বদরুদ্দোজা নিশ্চিত করেছেন যে আটক ব্যক্তিদের সদর ও তেতুলিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। তারা আরও জানিয়েছেন যে সংশ্লিষ্ট থানা এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) মাধ্যমে আটক ব্যক্তিদের পরিবারের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হচ্ছে।
বিজিবি ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আজ সকাল ৬:০০ টার দিকে, পঞ্চগড় সদর উপজেলার অমরখানা ইউনিয়নের ভিতরগড় সীমান্তে ৭৪৬ নম্বর প্রধান পিলারের ৩ নম্বর সাব-পিলারের কাছে কমলাপাড়া এলাকা থেকে নীলফামারী ৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধীন টোকাপাড়া সীমান্ত ফাঁড়ির (বিওপি) সদস্যরা নারী ও শিশুসহ ছয়জনকে আটক করে। ঘোড়ারবাড়ি বিএসএফ ক্যাম্প থেকে ভারতের ৪৬ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের সদস্যরা তাদের বাংলাদেশে ঠেলে দেয় বলে জানা গেছে।
এদিকে, সকাল ৭:৪৫ টার দিকে, একই বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধীনে জয়ধরভাঙ্গা বিওপির সদস্যরা চাকলাহাট ইউনিয়নের জয়ধরভাঙ্গা সীমান্তে ৭৫৮ নম্বর প্রধান পিলারের ৯ নম্বর সাব-পিলারের কাছে প্রধানপাড়া এলাকা থেকে নারী ও শিশুসহ সাতজনকে আটক করে। শ্যাম বিএসএফ ক্যাম্প থেকে ভারতের ৯৩ নম্বর বিএসএফ ব্যাটালিয়নের সদস্যরা তাদের ধাক্কা দিয়ে ভেতরে ঢুকিয়ে দেয় বলে জানা গেছে।
এছাড়াও, সকাল ৭:৩০ টার দিকে, পঞ্চগড় ১৮ নম্বর বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধীনে ভজনপুর বিওপির সদস্যরা তেতুলিয়া উপজেলার ভজনপুর ইউনিয়নের ভজনপুর এলাকা থেকে নারী ও শিশুসহ আরও পাঁচজনকে আটক করে। ভারতের ৪৬ নম্বর বিএসএফ ব্যাটালিয়নের অধীনে তপ্রভিটা বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা তাদের ৭৪১ নম্বর প্রধান পিলারের ৪ নম্বর সাব-পিলারের কাছে শুকানি সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকে পড়ে।
এর আগে, পঞ্চগড়ের বিভিন্ন সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে বিএসএফ ১৬ মে ১১ জন, ২১ মে ২১ জন, ২ জুন ২৬ জন, ১৩ জুন ৭ জন এবং ১৪ জুন ১৬ জনকে ফিরিয়ে দিয়েছিল।
