৫০তম বিসিএসের আবেদন প্রক্রিয়া বৃহস্পতিবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখ থেকে শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি) আবেদন এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কিত নির্দেশিকা জারি করেছে।
২৬ নভেম্বর প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে এই নির্দেশনাগুলি বর্ণিত হয়েছে।
৫০তম বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বিসিএস) এর বিজ্ঞপ্তিটি ২৭ নভেম্বর ২০২৫ তারিখে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশিত হয়। পিএসসি অনুসারে, ৫০তম বিসিএসে মোট শূন্য ক্যাডার পদের সংখ্যা ১,৭৫৫।
নন-ক্যাডার পদের সংখ্যা ৩৯৫। এই বিসিএসে উভয় বিভাগ থেকে মোট ২,১৫০ জন প্রার্থীকে নিয়োগ দেওয়া হবে।
আবেদন শুরু: ৪ ডিসেম্বর ২০২৫, সকাল ১০:০০ টা
আবেদন শেষ: ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, সকাল ১১:৫৯ টা
বয়সসীমা: আবেদনকারীদের বয়স ১ নভেম্বর ২০২৫ তারিখে ২১ থেকে ৩২ বছরের মধ্যে হতে হবে।
আবেদন কিভাবে করবেন
প্রার্থীদের http://bpsc.teletalk.com অথবা বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের মাধ্যমে পিএসসি-নির্ধারিত অনলাইন আবেদনপত্র (BPSC ফর্ম-১) পূরণ করতে হবে এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অনলাইন নিবন্ধন এবং ফি প্রদান সম্পন্ন করতে হবে।
আবেদন ফি
সাধারণ প্রার্থী: ২০০ টাকা
জাতিগত সংখ্যালঘু/প্রতিবন্ধী ব্যক্তি/তৃতীয় লিঙ্গের আবেদনকারী: ৫০ টাকা
*আবেদন জমা দেওয়ার ৭২ ঘন্টার মধ্যে ফি প্রদান করতে হবে।
প্রবেশপত্র সংক্রান্ত নির্দেশনা
৫০তম বিসিএস পরীক্ষার জন্য বিপিএসসি ফর্ম-১ পূরণ, এসএমএসের মাধ্যমে ফি প্রদান এবং প্রবেশপত্র ডাউনলোড করার নির্দেশিকা:
পিএসসি ওয়েবসাইট অথবা টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেড ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আবেদন জমা দেওয়া যেতে পারে। অনলাইনে আবেদন করার সময় আবেদনকারীদের নিম্নলিখিত তথ্য/নথিপত্র হাতের কাছে রাখতে হবে-
এসএসসি/সমমান পরীক্ষার রোল, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, বোর্ড, ফলাফল, গ্রুপ, পাসের বছর।
এইচএসসি/সমমান পরীক্ষার রোল, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, বোর্ড, ফলাফল, গ্রুপ, পাসের বছর।
স্নাতক/সমমান ডিগ্রি: প্রতিষ্ঠানের নাম, রোল, সেশন, ফলাফল, বিষয়, পাসের বছর।
মাস্টার্স/সমমান ডিগ্রি: প্রতিষ্ঠানের নাম, রোল, সেশন, ফলাফল, বিষয়, পাসের বছর।
জাতীয় পরিচয়পত্র, জন্ম সনদ, পাসপোর্ট নম্বর।
গত তিন মাসের মধ্যে তোলা একটি রঙিন ছবি (সর্বোচ্চ ৩০০×৩০০ পিক্সেল, ১০০ কেবি)।
স্বাক্ষর (সর্বোচ্চ ৩০০×৮০ পিক্সেল, ৬০ কেবি)।
উচ্চতা (সেমি), ওজন (কেজি), বুকের পরিমাপ (সেমি)।
৫০তম বিসিএস পরীক্ষার ২০২৫ সালের বিজ্ঞপ্তির একটি কপি।
আবেদনের নিয়ম ও শর্তাবলী
ফি জমা দেওয়ার আগে যেকোনো সময় আবেদনপত্র সংশোধন করা যেতে পারে।
পদ সৃষ্টি বা বিলুপ্তি, পদোন্নতি, অবসর, মৃত্যু, পদত্যাগ বা অপসারণের কারণে বিজ্ঞাপনিত শূন্যপদের সংখ্যা পরিবর্তিত হতে পারে।
যদি কোনও প্রার্থী এমন একটি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন যা উত্তীর্ণ হওয়ার পরে তাকে ৫০তম বিসিএসে অংশগ্রহণের যোগ্য করে তোলে এবং যদি ৫০তম বিসিএসের আবেদনের সময়সীমার মধ্যে সেই পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত না হয়, তবে তিনি এখনও ‘ফলাফলের অপেক্ষায় প্রার্থী’ হিসেবে অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। তবে, এই ধরনের আবেদন অস্থায়ী হিসেবে বিবেচিত হবে।
যে কোনও প্রার্থী সরকারের পূর্বানুমোদন ছাড়াই বিদেশী নাগরিককে বিয়ে করেন বা বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দেন, তাকে অযোগ্য বলে গণ্য করা হবে।
চাকুরী থেকে বরখাস্ত বা পদত্যাগকারী প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন, তবে বরখাস্ত আদেশের একটি সত্যায়িত অনুলিপি বা পদত্যাগপত্র গ্রহণের একটি কপি বিপিএসসি ফর্ম-১ এর সাথে জমা দিতে হবে।
প্রিলিমিনারি পরীক্ষার উত্তরপত্র পুনঃমূল্যায়ন বা পুনঃআবেদন করার কোন বিকল্প নেই।
প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের জন্য নির্দেশাবলী
যেসব প্রতিবন্ধী প্রার্থীর জন্য একজন লেখক প্রয়োজন, তাদের অনুরোধের ভিত্তিতে বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন কর্তৃক উপযুক্ত যোগ্য এবং প্রশিক্ষিত লেখক সরবরাহ করা হবে।
যেসব প্রার্থীর একজন লেখক প্রয়োজন, তাদেরকে ৮ জানুয়ারী ২০২৬ সালের মধ্যে কমিশনের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ক্যাডার) এর কাছে একটি আবেদন জমা দিতে হবে, সাথে একটি মেডিকেল সার্টিফিকেট, একটি ছবি এবং তাদের প্রতিবন্ধীতা সনাক্তকরণ কার্ডের একটি কপি, যেখানে লেখকের জন্য তাদের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ থাকবে।
আবেদন প্রক্রিয়া এবং নির্দেশাবলী সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্যের জন্য, অনুগ্রহ করে এই লিঙ্কটি দেখুন।
