টানা বর্ষণ ও টানা বৃষ্টিতে সিলেটের তিন স্থানে তিন নদীর সীমানা অতিক্রম করেছে পানি। এ ছাড়া আরও কয়েকটি স্থানে পানি উপকূলের কাছাকাছি রয়েছে। এদিকে এ জেলার খাল-বিল-নর্দমায় পানি বেড়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। ফলে সিলেট নগরীর অনেক ঘরবাড়ি প্লাবিত হয়েছে এবং সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, রোববার (১৬ জুন) দুপুর নাগাদ সিলেট নগরীর কণিকাট পয়েন্টসহ অনেক বাড়িতে পানি জমেছে। সুরমা নদীর ফেঞ্চুগঞ্জের কয়েকটি স্থানে পানি সীমা ছাড়িয়ে গেছে। কুশিয়ারার সালিগাট পয়েন্ট এবং সাইলে সারি নদী।
এদিকে গত দুই দিনের টানা বর্ষণে ওই এলাকার সেচ খাল ও নালা-নর্দমায় পানি বেড়ে অনেক বাড়িতে বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। ঈদের আগের দিন নগরীসহ অন্যান্য এলাকার বাসিন্দাদের এমন দুর্ভোগ পোহাতে হয় এবং এ জেলার পাওবো ঝর্ণা থেকেও জানা যায় সব সিলেট নদীর পানির উচ্চতা বেড়ে যায়। আজ দুপুরে সুরমা নদীর কানিঘাট পয়েন্টে বিষুবরেখা থেকে ৩৮ ইঞ্চির বেশি পানি প্রবাহিত হচ্ছে। নদীর বন্যা বিন্দুতে, জলের স্তর জোয়ারের সীমা থেকে 41 সেন্টিমিটার নীচে। কুশিয়ারা নদীর ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ৬০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সারি নদীর সারিঘাট পয়েন্টে বন্যার পানি ২৭ সেন্টিমিটার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে। নদীর গোয়াইনহাট পয়েন্টে পানির স্তর উচ্চ পানির চিহ্ন থেকে 38 সেন্টিমিটার নিচে।
সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাস বলেন, ভারতের মেঘালয় রাজ্যে বৃষ্টিপাতের কারণে গ্রেডিয়েন্টের কারণে নদী-নালায় পানির উচ্চতা বেড়েছে। ভারতে বৃষ্টিপাত কমলে পরিস্থিতির উন্নতি হবে।