দক্ষিণাঞ্চলের ৯ টি নদীর জল পানি বিপৎসীমার ওপর মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়। তাছাড়া বরিশালের কীর্তনখোলা নদীর পানি সীমারেখার সমান্তরালে, ভোলার তেঁতুলিয়া নদীর পানি এবং বরগুনার পায়রা নদীর পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় বরিশাল পানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের উপ-প্রকৌশলী তাজুল ইসলাম জানান, বর্ষা মৌসুমে অধিদফতরের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ নদ-নদীর পানি প্রবাহ পর্যবেক্ষণ করা হবে। এর মধ্যে, সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার সকাল ৬ টায় দক্ষিণাঞ্চলের ৯ টি নদীর পানি সীমান্ত দিয়ে প্রবাহিত হয়েছিল। এতে অনেক এলাকা ডুবে গেছে।
পানি সম্পদ উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে, বিষখালী নদী জলকাটিতে সীমানা রেখার ১৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বিষখালীর পানির স্তর বরগুনার বেতাগী উপজেলায় ১৪ সেমি, ভোলার দৌলথান উপজেলার সুরমা মেঘনায় ৭১ সেমি, তজুমদ্দিন উপজেলার সুরমা মেঘনায় ৮৭ সেমি, মির্জাগঞ্জ পটুয়াখালীর পায়রা নদীতে ৩ সেমি এবং বিষখালীতে ১১ সেমি। বরগুনা সদর উপজেলার নদী পাথরঘাটা উপজেলায় ১০ সেন্টিমিটার, উমেদপুরের মাথায় ২০ সেন্টিমিটার এবং পিরোজপুর জেলার বলেশ্বর নদী বন্যা স্তরের ১৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
উপ-সহকারী প্রকৌশলী, বরিশাল পানি সম্পদ উন্নয়ন বোর্ড মো. তাজুল ইসলাম বলেন, প্রতিকূল আবহাওয়া ও ভারত থেকে আসা পানির কারণে নয়টি নদীর পানির উচ্চতা বেড়েছে। তবে দক্ষিণাঞ্চলে বন্যার কোনো পরিণতি এখনো দেখা যায়নি।