গাজা থেকে চার জিম্মিকে উদ্ধার করেছে ইসরাইল। এই দেশটির সেনাবাহিনী জিম্মিদের মুক্ত করতে অভিযানে স্থল, আকাশ ও সমুদ্র চারদিক দিয়ে হামলা চালায়। এতে দুই শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়।
শনিবার (৮ জুন) আল জাজিরা এ তথ্য জানিয়েছে।
এই প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরাইল গাজায় সমুদ্র, স্থল ও আকাশপথে হামলা চালায়। এতে দুই শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়। আল জাজিরা জানিয়েছে যে ইসরায়েলি হামলা বাস্তুচ্যুত গাজাবাসীদের মধ্যে যুদ্ধের আশঙ্কা পুনরুজ্জীবিত করেছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরাইলি হামলায় বিপুল সংখ্যক মানুষ নিহত হয়েছে। আহতদেরও আল-আকসা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়। ইসরায়েলি হামলায় আহতরা মাটিতে পড়ে আছে। প্রাথমিক চিকিৎসার মাধ্যমে তাদের বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে হাসপাতালগুলোতে খাবার ও ওষুধের সংকট রয়েছে। এ ছাড়া হাসপাতালে জ্বালানি সংকটের কারণে মেইন জেনারেটর বিকল হয়ে পড়ে।
সরকারি গাজা স্ট্রিপ মিডিয়ার এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নুসরাত ও মধ্য গাজার বিভিন্ন এলাকায় ইসরায়েলি হামলায় ২১০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একজন প্রতিনিধি বলেন, রাস্তায় অনেক আহত অবস্থায় পড়ে আছে।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) এর আগে ঘোষণা করেছিল যে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা থেকে চার জিম্মিকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিদের গত ৭ অক্টোবর গাজা উপত্যকায় একটি সঙ্গীত অনুষ্ঠান থেকে হামাস জঙ্গিরা অপহরণ করে। এরা হলেন নোয়া আরগামনি (২৫), আন্দ্রে কোজলভ (২৭), সালমি ঝিভো (৪০) এবং আলমোগ মের জান। তাদের মধ্যে নোয়া আরগামোনির জন্ম চীনে। আন্দ্রে কোজলভও রাশিয়া থেকে ইসরায়েলে এসেছিলেন।
ইসরায়েল জানায়, ওই দিন পরে একটি জটিল অভিযানে জিম্মিদের মুক্ত করা হয়। ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনী ও পুলিশ এই অভিযান চালায়। গাজা উপত্যকার নুসেরাত এলাকায় দুটি ভিন্ন স্থানে তাদের উদ্ধার করা হয়।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, জিম্মিদের মুক্ত করতে ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানে বেশ কয়েকজন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। তাদের মধ্যে শিশুও রয়েছে।