Home বাংলাদেশ ছাগলের কাণ্ড : মতিউরের স্ত্রী লাকীর ১৪ দিনের মধ্যে প্রথমবারের মতো দেখা...

ছাগলের কাণ্ড : মতিউরের স্ত্রী লাকীর ১৪ দিনের মধ্যে প্রথমবারের মতো দেখা মিলল এড়িয়ে গেলসাংবাদিক দের

0

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের বিতর্কিত সাবেক সদস্যের স্ত্রী ড. মতিউর রহমান, লীলা কানিজ লাকী ১৪ দিন স্ব-ধার্মিকতা এবং ভান করে কাটিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় নেতাকর্মীদের নিয়ে উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ে প্রবেশ করেন লাকী। এ সময় তিনি উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ে আসন্ন এসএসসি পরীক্ষা ও বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট সংক্রান্ত দুটি প্রস্তুতিমূলক সভায় যোগ দেন। তিনি সেখানে কোনো সাংবাদিক চাননি। তাই সাংবাদিকদের সম্মেলন কক্ষে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। সভায় উপজেলা ব্যবস্থাপকসহ বিভিন্ন পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠক শেষে দুপুর ১টার দিকে তারা এলাকা ত্যাগ করেন। একটি কালো পাজেরোতে। তার বিপুল সংখ্যক সমর্থক কার্যালয়ের বাইরে ছিলেন। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেননি লীলা কানিজ লাকী। এদিকে লাকির গলা শোনা গেল, লোকে অনেক কথা বলবে। আমার কাছে কিছুই আসে না বা যায় না। “
বৈঠকে প্রবেশের পর নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্র জানায়, ‘রায়পুরার সাংবাদিকদের পাশাপাশি ঢাকার সংবাদপত্র ও জাতীয় টেলিভিশনের সাংবাদিকদের ঘুষ দিয়ে আমি নরসিংদীর রায়পুরা ডায়োসিসে এসেছি। আপনার আর কিছু করার নেই। সবকিছু থেমে যায়। রাজ্য অর্থ কমিটির বিতর্কিত স্ত্রী (প্রাক্তন সদস্য), ড. মতিউর রহমান, লীলা কানিজ লাকী আশুগঞ্জের উজানবাটি নামের একটি রেস্তোরাঁয় রায়পুরায় ইউপি চেয়ারম্যানসহ অন্যদের সঙ্গে গোপন বৈঠক করেন। তবে এই ভাষণের কোনো ভিডিও রেকর্ডিং পাওয়া যায়নি।

নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলা পরিষদের চেয়ারপারসন সাবেক জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সদস্য মতিউর রহমানের প্রথম স্ত্রী লায়লা কানিজ লাকী ফোন ধরেননি।

এদিকে, লীলা কানিজ ঈদুল আজহার তিন দিন আগে (বৃহস্পতিবার, ১৩ জুন) তার চূড়ান্ত দায়িত্ব শেষ করেছেন। ছাগল মামলায় সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচিত কর পরিদর্শক মতিউর রহমানের প্রথম স্ত্রী লায়লা কানিজ লাকী। ছাগলের ঘটনার পর থেকে উপজেলা চেয়ারপারসন লায়লা কানিজকে প্রকাশ্যে দেখা যায়নি। বিভিন্ন মাধ্যমে তার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি এবং আজও এই জনসাধারণ সাংবাদিকদের থেকে দূরে রয়েছেন।

লায়লা কানিজ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রায়পুরা উপজেলা পার্টির সভানেত্রী হন এবং ২০২২ সালে তিতুমীর সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক হিসেবে তার পদ ছেড়ে দিয়ে রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সহকারী ও সমাজ সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছেন। ছাগল কেলেঙ্কারির পর তার নামে সম্পদের বিবরণ শুনে বিস্ময় প্রকাশ করেন স্থানীয়রা।

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Exit mobile version