দেশটির সরকারি বার্তাসংস্থা সিনহুয়া জানিয়েছে, হেনানের ইয়ানসানপু গ্রামের ইয়িংকাই স্কুলের ওই ডরমেটরিতে আগুন লাগার অল্প সময়ের মধ্যেই সেখানে পৌঁছে গিয়েছিল ফায়ার সার্ভিস। প্রায় ৪০ মিনিট তৎপরতা চালানোর পর রাত ১১টা ৩৮ মিনিটের দিকে নিয়ন্ত্রণে আসে আগুন।
আগুনে ১৩ জন নিহত হওয়ার পাশাপাশি একজন আহতও হয়েছে। তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং বর্তমানে ওই ব্যক্তির অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানিয়েছে সিনহুয়া।
অগ্নিকাণ্ডের কারণ উদ্ঘাটনে তদন্ত শুরু করেছে ফায়ার সার্ভিস। এ ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে ডরমেটরির এক স্টাফকে আটকও করা হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষোভ
হেনানের প্রধান শহর নানইয়াংয়ের সংলগ্ন ইয়ানসানপু গ্রামের এই স্কুলটি সম্পর্কে এখনও বিশেষ কোনো তথ্য জানা যায়নি। এমনকি নিহতদের মধ্যে শিক্ষার্থীর সংখ্যা কত, সে সম্পর্কেও নিশ্চিত হতে পারেনি সিনহুয়া।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্কুলটির বিভিন্ন ছবি ঘুরে বেড়াচ্ছে। কোনো ছবি অগ্নিকাণ্ডের আবার কোনো ছবি স্কুলটির শিক্ষা কার্যক্রমের। যেমন একটি ছবিতে দেখা গেছে, স্কুল ইউনিফর্ম পরা একদল শিক্ষার্থী সারি বেঁধে বসে ক্যালিগ্রাফি চর্চা করছে।
স্কুলটিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ব্যাপক ক্ষুব্ধ হয়েছেন চীনা নেটিজেনদের একাংশ। দেশটির সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ওয়েইবোতে এক নেটিজেন লেখেন, ‘এটা খুবই ভয়ঙ্কর। ১৩টি পরিবারের ১৩ জন নিমিষে শেষ হয়ে গেলো। যদি এই ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের যথাযথ শাস্তি না দেওয়া হয়, তাহলে মৃতদের আত্মা শান্তি পাবে না।’
চীনের ভবনগুলোতে আগুন এবং অন্যান্য দুর্ঘটনা এবং এসবের জেরে প্রাণহানি অবশ্য বিরল কোনো ঘটনা নয়। ভবনগুলোর নিজস্ব নিরাপত্তায় ঘাটতিই এসব দুর্ঘটনার প্রধান কারণ।
গত নভেম্বরে চীনের শ্যাংজি প্রদেশের একটি হাসপাতালে আগুন লেগে ২৬ জন নিহত হয়েছেন। তার আগে জুলাই মাসে দেশটির উত্তরপূর্বাঞ্চলে একটি ব্যায়ামাগারের ছাদ ধসে নিহত হয়েছিলেন অন্তত ১১ জন।
তথ্য সূত্রঃ dhakapost.com