টানা ভারী বর্ষণে চট্টগ্রাম ও সিলেটের পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসের আশঙ্কায় সতর্ক করেছে আবহাওয়া অধিদফতর। কক্সবাজারের উখিয়া জেলার একটি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ভূমিধসে ১০ জন নিহত হওয়ার খবরের মধ্যে এই সতর্কতা এলো। উপকূলীয় এলাকায় প্রবল বাতাসের কারণে অভ্যন্তরীণ বন্দরগুলোকে এখন আঞ্চলিক সতর্ক সংকেত নং প্রদর্শন করতে হবে। ৩.
জাপানের আবহাওয়া সংস্থার মতে, সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর কারণে সারাদেশে বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। আগামী ১০ দিনের মধ্যে বৃষ্টি কমার কোনো সম্ভাবনা নেই।
বুধবার (২৯ জুন) সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ কুড়িগ্রামে ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ ১৬৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এ ছাড়া: সিলেট ১৩৪ মিমি, পঞ্চগড়ে ১২৪, হবিগঞ্জে ১১২ মিমি, রামপুরে ১১১, নোয়াখালীতে ৭১, কক্সবাজারে ৬৫, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৬০, ময়মনসিংহে ৫৮, পিরোজপুরে ৫৬, বরিশালে ৫৩, বান্দরবানহাটে ৬৬। দেশের অধিকাংশ স্থানে বৃষ্টিও হয়েছে। শাহীনুল ইসলাম বলেন, সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর কারণে বঙ্গোপসাগরের উত্তরাঞ্চলে গভীর সঞ্চালনশীল মেঘের সৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে উত্তর বঙ্গোপসাগর, উপকূলীয় এলাকা ও বন্দরসমূহে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সে অনুযায়ী আবহাওয়া অধিদপ্তর চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, পায়রা ও মংলা সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে। 3. মাছ ধরার নৌকা এবং ট্রলারগুলিকে উপকূল থেকে দূরে সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও আগামী দুইদিন রংপুর, ময়নাসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেটে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণের সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ শাহিনুল জানান, অতিবৃষ্টির কারণে চট্টগ্রাম ও চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসের আশঙ্কা রয়েছে। তার মতে, আগামী ১০ দিনে বৃষ্টি হবে না। , বুধবার সন্ধ্যায় বন্যার পানি বাড়তে পারে, ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট জেলার অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টি ও দমকা হাওয়া বয়ে যাবে। আসতে পারি. দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।
অবিরাম বৃষ্টিপাত এবং উর্ধ্বগতির কারণে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল বন্য। সুরমা বাদে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সব প্রধান নদ-নদীর পানির উচ্চতা বাড়ছে। বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় সুনামগঞ্জের নিম্ন নেত্রকোনা ও সিলেট জেলায় চলমান বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে। মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলার মনু খোয়াই নদী সংলগ্ন নিম্নাঞ্চলে চলমান বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
এছাড়া আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দেশের উত্তরাঞ্চলের দুধকুমার, তিস্তা ও ধরলা নদীর পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পেতে পারে এবং কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট ও রংপুর জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের কিছু এলাকায় পরিস্থিতি ঠিক উল্টো। বৃষ্টি না হওয়ায় প্রচণ্ড গরমে শ্বাসরুদ্ধকর মানুষ। বুধবার চুয়াডাংয়ে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৬ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়া অফিস আশা করছে বৃষ্টি বাড়লে এই তাপপ্রবাহ ধীরে ধীরে কমতে পারে।