Home বিশ্ব ঘড়ির কাঁটায় এক ঘণ্টা এগিয়ে গেল ইউরোপ

ঘড়ির কাঁটায় এক ঘণ্টা এগিয়ে গেল ইউরোপ

0

ঘড়ির কাঁটা এক ঘণ্টা এগিয়ে নিয়েছে ইউরোপ। রোববার থেকে নতুন এই সময় কার্যকর করা হয়েছে। মূলত ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোতে প্রতিবছর মার্চের শেষ রোববার ঘড়ির কাঁটা এক ঘণ্টা এগিয়ে নেওয়া হয়। যা ডে লাইট সেভিং টাইম নামে পরিচত। অফিসসহ অন্যান্য জায়গায় দিনের আলোর ব্যবহার বাড়ানোর জন্য এমনটি করা হয়।

আগামী ২৭ অক্টোবর আবারও সাধারণ সময়ে ফিরে আসবে ঘড়ির কাঁটা। সাধারণত বছরে দুবার ঘড়ির কাঁটা এক ঘণ্টা পরিবর্তন করা হয়। একবার সামনে, আরেকবার পেছনে। এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় গত ১০ মার্চ থেকেই ঘড়ির কাঁটা এক ঘণ্টা এগিয়ে নেওয়া হয়েছে।

২০০১ সাল থেকেই ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর জন্য ঘড়ির কাঁটা এগিয়ে আনা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এটি দিনের আলো সংরক্ষণ সময় বা ডিএসটি পরিকল্পনা নামে পরিচিত। তবে ব্রেক্সিটের কারণে ভবিষ্যতে যুক্তরাজ্যের ঘড়ির কাঁটায় পরিবর্তন আসবে কি না, তা এখনো নিশ্চিত নয়। এদিকে, ইউরোপের দেশ রাশিয়া, আইসল্যান্ড ও বেলারুশ পদ্ধতিটি ব্যবহার করে না।

প্রতি বছর এভাবে ঘড়ির কাঁটা পরিবর্তনের বিষয়টি বাতিল করে দিতে ২০১৯ সালে একবার উদ্যোগ নিয়েছিল ইউরোপীয় ইউনিয়ন। কিন্তু পাঁচ বছর পেরিয়ে গেলেও এটি নিয়ে কোনো সুরাহা হয়নি। এমনকি বিষয়টি নিয়ে আনুষ্ঠানিক আলোচনাও শুরু করতে পারেনি ইউরোপীয় ইউনিয়ন।

গত কয়েক বছরে ব্রেক্সিট, কোভিড-১৯ মহামারি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বিষয়টি আরও জটিল করে দিয়েছে। আর বিষয়টির সমাধান যে সহসা হবে না সেটিও প্রায় নিশ্চিত। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ ইউক্রেনেও ঘড়ির কাঁটা এগোনো হয়। তবে ইউক্রেনের যেসব অঞ্চল রাশিয়া দখল করে রেখেছে সেখানে সাধারণ সময় অনুযায়ী সবকিছু চলে।

ডেইলাইট সেভিং টাইম কার্যকর করা হয় এজন্য যে, যেন সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত উভয়ই এক ঘণ্টা পরে ঘটে এবং বিকেলের ভাগে অতিরিক্ত ১ ঘণ্টা সময় সূর্যালোক পাওয়ার সুযোগ থাকে। ১৭৮৪ খ্রিষ্টাব্দে বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন তার একটি প্রবন্ধে প্রথম এই নাটকীয় ব্যবস্থার ধারণা তুলে ধরেন।

প্রথম বিশ্বযুদ্ধ থেকেই যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য ইউরোপীয় দেশগুলোতে ব্যবহৃত হচ্ছে ডে লাইট সেভিং। এরপর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসে এ সংক্রান্ত একটি আইন পাশ করে, যাতে যুদ্ধকালে দেশের সময়কে এক ঘণ্টা এগিয়ে নেওয়া যায়। সেই ধারাবাহিকতায় পদ্ধতিটি যুক্তরাজ্যও অনুসরণ করতে শুরু করে।

এই পদ্ধতিটি নিয়ে বিতর্কও রয়েছে। বিকেলের দিকে আলো যোগ করলে কেনাকাটা, খেলাধুলাসহ অন্যান্য কাজে লাভবান হওয়া যায়। তবে কৃষিকাজ, সান্ধ্যকালীন প্রমোদসহ বেশকিছু কাজের ক্ষেত্রে সমস্যর সৃষ্টি হয়।

আরএস

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Exit mobile version