মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে চট্টগ্রামে রোববার সকাল থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। বন্যা ও ভূমিধসের আশঙ্কা রয়েছে। ভেজা রাস্তার কারণে নগরীর বেশ কয়েকটি স্থানে যানবাহনের গতি কমে গেছে। এতে এসব স্থানে যানজটের সৃষ্টি হয়। তবে আজ থেকে এইচএসসি ও অনুরূপ পরীক্ষা শুরু হওয়ায় প্রবল বৃষ্টির মধ্যেও সড়কে প্রচুর যানবাহন দেখা গেছে। যানজট এড়াতে পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকরা পরীক্ষা কেন্দ্র এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন।
সকালে শহরের দুই নম্বর গেট, রহমান নগর, খুলশী রেলগেট, ওয়্যারলেস রেলওয়ে জংশনসহ বিভিন্ন স্থানে সামান্য বন্যা দেখা দেয়। এ সময় জাকির হোসেন সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এ সড়কে তিনটি কলেজে এইচএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র রয়েছে। যানজট ও প্রবল বৃষ্টির কারণে পরীক্ষা শুরুর আধা ঘণ্টা আগে কেন্দ্রে পৌঁছাতে ভয় পান শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
গত বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামসহ দেশের অনেক স্থানে ভারী বর্ষণের সতর্কবার্তা দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। বাজার রশিদ স্বাক্ষরিত এই সতর্কবার্তায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষজ্ঞ বলেন, বাংলাদেশের ওপর দিয়ে মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে আগামী ৭২ ঘণ্টায় রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা, সিলেট, বরিশাল ও চট্টগ্রামের কিছু কিছু জায়গায় ভারী বর্ষণ হতে পারে। খুব ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এই সময়ের মধ্যে দৈনিক বৃষ্টিপাত 44 থেকে 88 মিমি এবং 289 মিমি। ভারী বর্ষণের কারণে চট্টগ্রাম, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, কক্সবাজার ও বান্দরবানের মহুর পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসের আশঙ্কাও রয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম কার্যালয়ের উপ-আবহাওয়াবিদ মুহাম্মদ আলী আকবর খান আজ সকালে প্রসূম এলোকে বলেন, কিছু সময়ের জন্য ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। গতকাল শনিবার সকাল ৬টা থেকে রবিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত চট্টগ্রামে ২৮ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে।
তবে ভারী বর্ষণ হলেও শহরে বন্যা হয়নি। চট্টগ্রাম নগরীর বাকলিয়া ডিকে রোডের বাসিন্দা মিজানুর রহমান সকাল সাড়ে নয়টায় প্রথম আলোকে বলেন, ওই এলাকায় এখনও পানি ওঠেনি। তবে ভারী বর্ষণে আবারও বন্যার ঝুঁকি বেড়েছে। কারণ এ ধরনের বৃষ্টিতে তাদের এলাকায় প্রায়ই পানি উঠে যায়।