আজ ১৯ জানুয়ারি। স্বাধীনতার ঘোষক, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তক, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীরউত্তমের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী। দিবসটি উপলক্ষে দুই দিনের কমর্সূচি পালন করছে বিএনপি।
১৯৩৬ সালের এই দিনে বগুড়া জেলার গাবতলী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন জিয়াউর রহমান। তার ডাক নাম কামাল। তার শৈশব ও যৌবন কেটেছে বগুড়া ও কলকাতায়।
শিক্ষা সমাপ্ত করার পর জিয়াউর রহমান ১৯৫৩ সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। মুক্তিযুদ্ধে তিনি সেক্টর কমান্ডার ও জেড ফোর্সের প্রধানের বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন: জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক। পরবর্তীতে তিনি মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি অংশ নেন। তিনি সেক্টর কমান্ডার ছিলেন।
১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর সিপাহী জনতা বিপ্লবের মাধ্যমে জিয়াউর রহমান রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসেন। তিনি 1977 সালে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ১ সেপ্টেম্বর, ১৯৭৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। তার ১৮-দফা কর্মসূচির মাধ্যমে তিনি রাজনীতিতে নতুনত্ব নিয়ে আসেন। তার হাতেই দেশের উন্নয়ন ও উৎপাদন নীতির সূচনা হয়। চার বছরের শাসনামলে কৃষি উৎপাদন, পোশাক শিল্পের উন্নয়ন, শ্রম রপ্তানি ও নতুন নতুন কারখানা স্থাপনসহ স্বনির্ভরতা অর্জনে জিয়াউর রহমানের উদ্যোগ ব্যাপক সাড়া পায়।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বাংলাদেশকে একদলীয় স্বৈরাচারের শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তিনি বাংলাদেশে মুক্তবাজার অর্থনীতি প্রতিষ্ঠা করেন।
জিয়াউর রহমান পররাষ্ট্রনীতিতে ব্যাপক পরিবর্তন আনেন। তার উদ্যোগে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সাতটি দেশ নিয়ে সার্ক গঠিত হয়। ১৯৮১ সালে ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থানে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান মারা যান। মুক্তিযুদ্ধে সাহসী অবদানের জন্য তাকে বীর উত্তম উপাধিতে ভূষিত করা হয়।