গোপালগঞ্জে পাঁচটি গাড়ির সংঘর্ষে একজন ট্রাফিক পুলিশ সদস্যসহ দুইজন নিহত এবং কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছেন। শনিবার ভোর ৪:০০ টার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোপীনাথপুর পুলিশ ফাঁড়ির সামনে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
গোপীনাথপুর পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো. মাকসুদুর রহমান মোরাদ প্রথম আলোকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, দুইজন নিহত এবং ১৫ জন আহত হয়েছেন। জড়িত যানবাহনগুলি জব্দ করা হয়েছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, শনিবার রাত ৮:০০ টার দিকে রাজধানী থেকে খুলনার উদ্দেশ্যে রওনা হওয়া বলশ্বর পরিবহনের একটি বাস ভোর ৪:০০ টার দিকে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রাকে ধাক্কা দেয়। পরে, আরও দুটি বাস – একটি আরমান পরিবহনের এবং একটি এসপি গ্রিনলাইনের – একটি প্রাইভেট কার সহ দুর্ঘটনায় পড়ে।
নিহতরা হলেন ভাটিয়াপাড়া হাইওয়ে থানার এটিএসআই রফিকুজ্জামান এবং আরমান পরিবহন বাসের হেলপার সেলিম হোসেন বেপারী। সেলিম খুলনার সোনাডাঙ্গার দেবেন বাবু রোডের আব্দুল হামিদ বেপারীর ছেলে।
আহতদের গোপালগঞ্জের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে, নিহতদের মরদেহ এখন পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক উত্তম রায় জানান, ভোর থেকেই আহতরা হাসপাতালে আসতে শুরু করেন। প্রাথমিক চিকিৎসার পর মোট ১৫ জন রোগীকে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে বলেশ্বর পরিবহনের চালক ইব্রাহিম এবং হেলপার রোহানের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
বলেশ্বর পরিবহন বাসের যাত্রী রফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, তিনি বাসে ঘুমাচ্ছিলেন, হঠাৎ তিনি জোরে ধাক্কার শব্দ শুনতে পান এবং এরপর চিৎকার শুরু হয়। বাস থেকে নেমে তিনি দেখতে পান আরমান পরিবহন বাসের হেলপার ঘটনাস্থলেই মারা গেছেন।
