বুধবার (৯ অক্টোবর) ষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে বাঙালি হিন্দুদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব। বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) মহাসপ্তমী পূজা। এদিন দেবী দুর্গার চক্ষুদান, নবপত্রিকা প্রবেশ, স্থাপন, সপ্তাদি কল্পারম্ভ ও সপ্তমীবিহিত পূজা হবে।
সনাতনী শাস্ত্র অনুসারে, মহাসপ্তমীতে ষোড়শ উপাচার দেবী দুর্গার পূজা করা হয়। তাছাড়া চক্ষুদানের পর ভক্তরা আসন, বস্ত্র, নৈবেদ্য, স্নানীয়, পুষ্পমাল্য, চন্দন, ধূপ ও প্রদীপ দিয়ে দেবীর আরাধনা করেন।
শুক্রবার (১১ অক্টোবর) মহাষ্টমী পূজা অনুষ্ঠিত হবে। একই সময়ে অনুষ্ঠিত হবে কুমারী পূজা।
আগামী রবিবার (১৩ অক্টোবর) প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে দুর্গোৎসব। সারা দেশে ৩১,৪৬১টি মণ্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপিত হচ্ছে। এর মধ্যে ঢাকায় ২৫২টি মণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
দুর্গোৎসবের সুবাদে মন্দির ও মণ্ডপে এখন উৎসবমুখর পরিবেশ। ভক্তিতে ভরপুর পূজা প্রাঙ্গণ।
সনাতন শাস্ত্র মতে এ বছর দোলা বা পালকিতে চড়ে দেবী দুর্গার আগমন হবে। পালকি বা দোলায় দেবীর আগমন বা গমন হলে এর ফল হয় মড়ক। এছাড়া দেবী স্বর্গে গমন করবেন ঘোটকে বা ঘোড়ায়। শাস্ত্র মতে, দেবীর গমন বা আগমন ঘোটকে হলে ফল হয় ছত্রভঙ্গ।