অবশেষে ক্ষমা চাইলেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। স্থানীয় সময় শনিবার গাজায় আরও ছয় জিম্মির মরদেহ পাওয়া গেছে। এই ঘটনার ব্যর্থতার জন্য তিনি ইসরায়েলিদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। জিম্মিদের মুক্ত করতে ইসরায়েলি সরকারের ব্যর্থতায় দেশজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। হামাস হুঁশিয়ারি দিয়েছে যে যুদ্ধবিরতি না হলে আরও জিম্মি লাশ হয়ে তাদের পরিবারের কাছে ফিরতে পারে। খবর বিবিসির।
হামাস যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষর এবং বাকি জিম্মিদের ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে রবিবার হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে আসে। পরিস্থিতি এখনও শান্ত হয়নি।
ইসরায়েল কেবল অভ্যন্তরীণ নয়, আন্তর্জাতিকভাবেও তীব্র চাপের মধ্যে রয়েছে। আন্তর্জাতিক আইনের সম্ভাব্য লঙ্ঘনের কারণে ব্রিটেন সম্প্রতি ইসরায়েলে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ইতিমধ্যেই বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের এসব অস্ত্র ব্যবহারের তীব্র নিন্দা করেছে।
অক্টোবরের ৭ তারিখে, ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ হামাস ইসরায়েলের সীমান্তে আক্রমণ করে এবং একটি অভিযান পরিচালনা করে। এরপর গাজায় পাল্টা হামলা চালায় ইসরাইল। প্রায় এগারো মাস ধরে গাজায় সংঘাত চলছে। ইসরায়েলের হামলার সময় গাজা উপত্যকায় ২৫১ জনকে জিম্মি করা হয়েছিল।
গত নভেম্বরে এক সপ্তাহব্যাপী যুদ্ধবিরতির সময় অনেক জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হয়। এর পর জীবিত বা মৃত অবস্থায় আরও কয়েকজন জিম্মিকে উদ্ধার করে ইসরায়েলি সেনারা।