কলম্বোর সিংহলিজ স্পোর্টস ক্লাব মাঠে বৃষ্টিবিঘ্নিত দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিনে খেলা শেষ হওয়ার আগেই শ্রীলঙ্কার বোলাররা বাংলাদেশকে ৮ উইকেটে ২২০ রানে গুটিয়ে ফেলে।
বোলারদের জন্য খুব একটা সুযোগ ছিল না এমন একটি ট্র্যাকে, অভিষেককারী সোনাল দিনুশা সবার নজর কেড়ে নেন।
অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসের অবসরের পর বড় লিগে প্রবেশ করা ২৪ বছর বয়সী এই বাঁহাতি স্পিনার দুর্দান্ত অভিষেকে ২২ রানে দুই উইকেট নিয়ে ফিরে আসেন।
দিনুশের প্রথম উইকেট ছিল লিটন দাস, যিনি মুশফিকুর রহিমের সাথে পঞ্চম উইকেটের জমজমাট জুটির ইতি টানেন।
এরপর তিনি প্রথম টেস্টে সেঞ্চুরি করা মুশফিকুরের মূল্যবান উইকেট নেন।
পেসার বিশ্ব ফার্নান্দো দিনুশকে কার্যকর সহায়তা প্রদান করেন।
ওয়ারউইকশায়ারের হয়ে সফল কাউন্টি ক্যারিয়ারের পর জাতীয় দলে ফিরে আসা বাঁহাতি পেসার প্রথম টেস্টে দুটি সেঞ্চুরি করা বাংলাদেশের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তকে সরিয়ে দেন।
ইনিংসের শেষের দিকে বিশ্বা ফিরে আসেন এবং মেহেদী হাসান মিরাজকে আউট করেন এক তীক্ষ্ণ বল দিয়ে যা কিনারা খুঁজে পায়।
বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের লড়াইয়ের কারণে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত উল্টো হয়ে যায়।
শাদমান ইসলামের ধৈর্যশীল ৪৬ রান ছাড়া টপ অর্ডারের ব্যাটিং ব্যর্থ হয়।
এটি একটি ধীরগতির পৃষ্ঠ, ইসলাম বলেন। শট খেলা সহজ ছিল না।
শ্রীলঙ্কার ফিল্ডিং কিছু জায়গায় এলোমেলো ছিল, কিন্তু তাদের বোলাররা এটির জন্য যথেষ্ট পরিমাণে প্রস্তুত ছিল, যাতে সফরকারীরা খেলা থেকে কখনও পালিয়ে যেতে না পারে।
মিলান রথনায়েকের ইনজুরির পর দলে আসা আসিথা ফার্নান্দো দিনুশা এবং বিশ্বাকে যথেষ্ট সমর্থন করেছিলেন।
শ্রীলঙ্কার ব্যাটিং কোচ থিলিনা কান্দাম্বি দলের পারফরম্যান্সের প্রশংসা করেছেন।
তিনি বলেন, দ্রুত বোলারদের খুব ভালো প্রচেষ্টা। তারা ভালো পরিকল্পনা অনুযায়ী বোলিং করেছে এবং সুযোগ তৈরি করেছে।
বাংলাদেশ তাদের দলে দুটি পরিবর্তন এনেছে: জ্বর থেকে সেরে মেহেদী হাসান ফিরে এসেছেন, জাকের আলীর পরিবর্তে, এবং আহত হাসান মাহমুদের জায়গায় এবাদত হোসেন এসেছেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: 220-8 (শাদমান ইসলাম 46, মুশফিকুর রহিম 35, সোনাল দিনুশা 2-22, বিশ্ব ফার্নান্দো 2-35)