রবিবারের বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস দেশের পুঁজিবাজার সম্পর্কিত সমস্যাগুলি সমাধান এবং প্রয়োজনীয় দ্রুত সংস্কারের মাধ্যমে এটিকে সচল রাখার জন্য পাঁচটি সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দিয়েছেন।
যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনে বৈঠকের পর প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম সাংবাদিকদের জানান যে, অধ্যাপক ইউনূস পাঁচটি প্রধান নির্দেশনা দিয়েছেন।
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত সভায় অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ এবং দেশের পুঁজিবাজারের অংশীদাররা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান উপদেষ্টা তাদের বক্তব্য শুনে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছেন। আমরা আশা করি খুব শীঘ্রই শেয়ার বাজারে বাস্তব ও অর্থবহ সংস্কার দেখতে পাব, প্রেস সচিব আলম বলেন।
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ পুঁজিবাজারের একটি বিস্তৃত চিত্র তুলে ধরেন এবং চলমান প্রচেষ্টা তুলে ধরেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, গত কয়েক দশক ধরে লুটপাটের মাধ্যমে শেয়ার বাজারকে অস্থিতিশীল করার সাথে জড়িতদের বিচারের আওতায় না আনা পর্যন্ত জনগণের আস্থা পুনরুদ্ধার করা যাবে না।
তিনি বলেন, শেয়ার বাজারের যে অবস্থায় আনা হয়েছে তা অকল্পনীয়। আমাদের এই পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে হবে। শেয়ার বাজারে প্রয়োজনীয় সংস্কার আনতে হবে যাতে এটি এমন একটি অবস্থায় ফিরে আসে যেখানে মানুষের আস্থা ফিরে আসে এবং এটি লুটেরাদের আড্ডাখানায় পরিণত না হয়।
পাঁচটি নির্দেশিকা
সরকারি মালিকানাধীন বহুজাতিক কোম্পানিগুলিতে সরকারের শেয়ারহোল্ডিং কমাতে এবং তাদের পুঁজিবাজারে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা;
বেসরকারি খাতের বৃহৎ দেশীয় কোম্পানিগুলিকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত করতে উৎসাহিত করার জন্য প্রণোদনা সহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা;
স্বার্থান্বেষীদের দ্বারা কারসাজি রোধ করতে তিন মাসের মধ্যে পুঁজিবাজার সংস্কারের জন্য বিদেশী বিশেষজ্ঞদের নিয়ে আসা;
পুঁজিবাজারে অনিয়মের সাথে জড়িত সকলের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা;
এবং ব্যাংক ঋণের উপর নির্ভরতা কমাতে এবং বন্ড এবং ইক্যুইটির মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে তহবিল সংগ্রহের জন্য বৃহৎ ঋণের প্রয়োজন এমন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলিকে উৎসাহিত করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
