নীলফামারী-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও অবসরপ্রাপ্ত সেনা মেজর রানা মোহাম্মদ সোহেলকে স্থানীয় জনতা আগ্নেয়াস্ত্রসহ আটক করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দিয়েছে।
রোববার হবিগঞ্জের চুনারুঘাট থেকে একটি পিস্তল ও গুলিসহ স্থানীয়রা তাকে আটক করে চুনারুঘাট থানায় সোপর্দ করে। পরে তাকে থানা থেকে সেনাবাহিনীর হেফাজতে নেওয়া হয়।
হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. রেজাউল হক খান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এক মোটরসাইকেল চালকের সঙ্গে কথা কাটাকাটির জেরে রানা মোহাম্মদ সোহেল ঘটনাস্থলেইবন্দুক দিয়ে গুলি ছোড়েন।
এ প্রসঙ্গে পুলিশ সুপার রেজাউল হক বলেন, চুনারুঘাটের পাকুরিয়া এলাকায় রানা মোহাম্মদ সোহেল তার লাইসেন্স করা পিস্তল নিয়ে প্রকাশ্যে গুলি চালায়। পরে লোকজন তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। সেখান থেকে সেনাবাহিনী তাদের হেফাজতে নেয়। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির পিস্তল ও গুলি পুলিশ হেফাজতে রয়েছে এবং এ ব্যাপারে সেনাবাহিনী পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
তিনি আরও বলেন, মেজর (অব.) রানা মোহাম্মদ সোহেলের বিরুদ্ধে হবিগঞ্জের বাইরে অন্য কোনো থানায় মামলা রয়েছে। তিনি চুনারুগাট বেড়াতে এসেছিলেন।
চুনারুঘাট থানার (ওসি) মোঃ নজরুল ইসলাম জানান, থানা থেকে তাকে শাহজিবাজার সেনা ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আমি যতদূর শুনতে পেরেছি, তিনি ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে জাতীয় পার্টি থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।