বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্ষমতায় রাখতে দলটি কাজ শুরু করেছে।
তিনি দ্রুত নির্বাচনের আহ্বান জানিয়ে বলেছিলেন যে একবার নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করা হলে সরকার সিদ্ধান্ত নেবে কোথায় পরিবর্তন করতে হবে। এরপর সংসদ সিদ্ধান্ত নেবে সংবিধান পুনর্লিখন বা সংশোধন করা হবে কিনা। সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ‘সংসদের দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট উচ্চকক্ষ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, হাসিনার ফ্যাসিস্ট সরকার ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকার পর দেশকে সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে ধ্বংস করেছে। সব গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস। আগাম নির্বাচন আয়োজনের মাধ্যমে নির্বাচন পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় ন্যূনতম সংস্কার প্রয়োজন।
তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের রক্তে যে নতুন বাংলাদেশ তৈরি হয়েছে তা ধ্বংসের সূচনা হয়েছে। এদিকে সমাজের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা বিভ্রান্তিকর কথা বলেন। সরকার যাদের ওপর দায়িত্ব অর্পণ করেছে তাদের অনেকেই নতুন দল গঠনের আহ্বান জানাচ্ছেন। আমরা ভাবছি কে তাদের নতুন দল গঠনের দায়িত্ব দিয়েছে। তাহলে মানুষ কিভাবে বুঝবে যে তারা নিরপেক্ষভাবে কাজ করছে?
তিনি আরও বলেন, দীর্ঘ আত্মত্যাগের পর আজ ১৫ থেকে ১৭ বছর নির্যাতনের শিকার হয়েছি। খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন কারাবন্দি ছিলেন। আমাদের নেতা তারেক রহমান নির্যাতিত হয়ে বিদেশে আছেন। তারা আমাদের নেতাকর্মীদের নামে ৬০ হাজার মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাদের নিগ্রহ করছে। অবিলম্বে মামলাগুলো প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি। তিনি দীর্ঘ যুদ্ধে আহত ও নিহতদের পরিবারের জন্য ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থাও করেছিলেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, একটি মহল অনির্দিষ্টকালের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে চালু রাখতে কাজ শুরু করেছে। তারা দেশকে সংস্কার করে এবং একযোগে দেশকে বদলে দেয়। এটা হলে জনগণ ও সংসদের প্রয়োজন হবে না। এই জার্নালে ব্র্যাক ইনস্টিটিউটের প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় দেখা যায় এই সরকার কতদিন খুশি থাকবে। আমি জানি না তারা কিভাবে এই গবেষণা পরিচালনা করেছে। কিন্তু মানুষ তা মেনে নেয় না।
ফখরুল বলেন, নির্বাচন কমিশন দ্রুত সংস্কার করে নির্বাচন আয়োজন করেছে। কংগ্রেসের উচিত জনগণের মতামতকে প্রাধান্য দেওয়া। কংগ্রেস ছাড়া জনগণের প্রত্যাশা পূরণ হবে না। তাই অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে দ্রুত ক্ষমতা হস্তান্তর জরুরি।




















































