ছাত্র অভ্যুত্থানের মাধ্যমে শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর জনরোষ থেকে বাঁচতে ও গ্রেফতার এড়াতে মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, বিভিন্ন পর্যায়ের দলীয় নেতা-কর্মীসহ বেশ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা আত্মগোপনে চলে যান।
অনেকেই এখন গোপনে সীমান্ত পেরিয়ে দেশ ছেড়েছেন। কিছু জালিয়াতির শিকার এমনকি “চালিত” দালাল এবং অভিবাসন কর্তৃপক্ষের দ্বারা পালিয়ে যাওয়ার সময় গ্রেপ্তার করা হয়। কেউ কেউ দালাল সিন্ডিকেটের সহায়তায় ভারতে প্রবেশের জন্য কোটি টাকাও দিয়েছে। তবে ২০ লাখের নিচে কেউ ঢুকতে পারেননি বলে বিশ্বস্ত একাধিক সূত্রে জানা গেছে।
কয়েকজন সাবেক মন্ত্রী ছাড়া, বেশিরভাগ মানুষ দেশ ছেড়ে যাওয়ার জন্য ভারতীয় সীমান্ত বেছে নিয়েছে। অভিবাসনের জন্য তারা যশোর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, হবিগঞ্জ, সিলেট, দিনাজপুরের হিলি এবং পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা সীমান্ত ব্যবহার করত। সীমান্ত পার হওয়ার জন্য বিভিন্ন সীমান্তে গড়ে উঠেছে বেশ কিছু গ্যাং। যুগান্তর পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়, এ চক্রের সদস্যরা প্রভাবশালীদের পার করে দিয়ে বিপুল অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর গত ৫ আগস্ট মধ্যরাতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের যশোরের উদ্দেশে রওনা হন। সেখানে তাকে একটি গুরুত্বপূর্ণ নিরাপদ স্থানে রাখা হয়। যশোর ও বেনাপোলের একাধিক ঊর্ধ্বতন সূত্র জানায়, পরদিন তিনি বিশেষ প্রহরায় সীমান্ত অতিক্রম করেন বলে জানিয়েছেন যশোর ও বেনাপোলের বেশ কয়েকটি দায়িত্বশীল সূত্র। তবে তারা পরিচয় প্রকাশ করতে রাজি হননি।
তবে বেনাপোল ছাড়াও পার্শ্ববর্তী পুটকারি ঘাট এলাকা দিয়ে আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন নেতা ভারতে প্রবেশ করেন। ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় ভারতীয় সীমান্তে নিহত হন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না।ভারতীয় অংশের দালালরা একা পেয়ে নির্যাতনের পর গলা টিপে হত্যা করা হয়।। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ পান্নার অর্ধগলিত মৃতদেহ খুঁজে পেয়েছে, যেটি বেশ কয়েকদিন ধরে সেখানে পড়ে ছিল।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন,, আওয়ামী লীগ নেতারা দালালদের সহায়তায় একের পর এক ভারতে পালিয়ে যেতে সক্ষম হওয়ায় অনেক বাসিন্দাই ক্ষুব্ধ। আশেপাশে সন্দেহজনক কাউকে পাওয়া গেলে তাদের আটক করে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করা হবে।