গত সোমবার যুদ্ধবিমান দুর্ঘটনায় দগ্ধ মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের দুই শিক্ষার্থীকে আজ, শনিবার জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট থেকে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে।
দিনের যেকোনো সময় তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে, বার্ন ইনস্টিটিউটের একাধিক চিকিৎসক নিশ্চিত করেছেন।
মাইলস্টোন ট্র্যাজেডির প্রথম দগ্ধ রোগী হিসেবে চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরবেন তারা। শিক্ষার্থীরা হলেন – রাফসি এবং আয়ান, উভয়ের বয়স ১২ বছর।
বার্ন ইনস্টিটিউটের চিকিৎসক অধ্যাপক ফোয়ারা তাসমিম এই দুই শিশুর চিকিৎসা করা ব্যক্তিদের মধ্যে একজন। আজ দুপুর ১:০০ টায় প্রথম আলোর সাথে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, রাফসি এবং আয়ানের দগ্ধ অবস্থা তুলনামূলকভাবে সামান্য ছিল এবং তাদের কোনও বড় জটিলতা দেখা দেয়নি। এ কারণেই তাদের ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। তাছাড়া, উভয় শিশুই বাড়ি ফিরতে চায়। চীন, সিঙ্গাপুর এবং ভারতের মেডিকেল টিমের দেশি-বিদেশি চিকিৎসকরা তাদের ছেড়ে দেওয়ার বিষয়ে সম্মত হয়েছেন।
দুই শিক্ষার্থীকে ছাড়ার জন্য জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি চলছে। কর্তৃপক্ষ চায় যে, মাইলস্টোন বিমান দুর্ঘটনায় দগ্ধ শিক্ষার্থীদের কোনও বড় আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই মুক্তি দেওয়া হোক।
আজ দুপুর ১টা পর্যন্ত বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন মাইলস্টোন বিমান দুর্ঘটনায় দগ্ধদের মোট সংখ্যা ছিল ৩৮ জন। রাফসি ও আয়ানকে আজ মুক্তি দেওয়া হলে রোগীর সংখ্যা দাঁড়াবে ৩৬ জন।
এর আগে, আজ সকালে দুই ঘণ্টার মধ্যে দগ্ধদের মধ্যে দুজন মারা গেছেন।
শেষ দুইজন নিহতের মধ্যে একজন ছাত্র ছিলেন, অন্যজন মাইলস্টোন স্কুলের কর্মচারী ছিলেন। দুজনেই ঢাকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারির ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন ছিলেন।
এর সাথে সাথে ন্যাশনাল বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে রেকর্ডকৃত যুদ্ধবিমান দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা ১৭ জনে দাঁড়িয়েছে। এই ঘটনায় মোট মৃতের সংখ্যা এখন ৩৫ জনে দাঁড়িয়েছে।