Home অপরাধ মাগুরায় শিশু ধর্ষণ: ১ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৩ জন খালাস

মাগুরায় শিশু ধর্ষণ: ১ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৩ জন খালাস

1
0

মাগুরা শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলার প্রধান আসামি হিটু শেখকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে মাগুরার একটি আদালত। মামলার বাকি তিন আসামি খালাস পেয়েছেন।

মাগুরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসান আজ, শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এই রায় দেন।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক বিশেষ প্রসিকিউটর হিসেবে নিযুক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল পদমর্যাদার আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী রায় নিশ্চিত করেছেন।

সূত্র জানায়, আদালত ২৭ এপ্রিল থেকে মামলার জবানবন্দি রেকর্ড করা শুরু করে। তারপর থেকে ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন শুনানি অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আদালতে আসামিদের উপস্থিতিতে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।

মামলায়, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের (ধর্ষণের ফলে মৃত্যুর অপরাধ) ধারা ৯(২) এর অধীনে ভিকটিমের বোনের শ্বশুরের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে।

ভুক্তভোগীর শ্যালক এবং তার বোনের শ্যালকের বিরুদ্ধেও দণ্ডবিধির ৫০৬ ধারার দ্বিতীয় অংশ (অপরাধমূলক ভয় দেখানো) এবং তাদের মাকে দণ্ডবিধির ২০১ ধারা (অপরাধের প্রমাণ নষ্ট করার অভিযোগ) এর অধীনে মামলা করা হয়েছে।

১৩ এপ্রিল, মাগুরা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ আলাউদ্দিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

পরে, ১৭ এপ্রিল, প্রধান বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে মামলাটি ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয় এবং ২০ এপ্রিল চার্জশিটটি আমলে নেওয়া হয়। ২৩ এপ্রিল অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরু হয়।

মামলার প্রধান আসামি ১৫ মার্চ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সব্যসাচী রায়ের আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারার অধীনে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

পুলিশ এবং পরিবারের সদস্যদের সূত্র জানায়, শিশুটি বেশ কয়েকদিন আগে তার বোনের বাড়িতে গিয়েছিল। ৬ মার্চ, শিশুটির বোনের শাশুড়ি তাকে অজ্ঞান অবস্থায় ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে আসেন। পরে ভুক্তভোগীকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় যেখানে তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং অবশেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) নিয়ে যাওয়া হয়।

শিশুটির মা ৮ মার্চ ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন। ফলে, ঘটনার ৭৩ দিনের মধ্যে মামলার রায় ঘোষণা করা হবে। এর আগে, পুলিশ ঘটনার ৩৭ দিনের মধ্যে অভিযোগপত্র দাখিল করে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here