গাজা ও লেবাননে যুদ্ধের শুরু থেকেই যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের মিত্র। গত ১ অক্টোবর ইসরায়েলে অন্তত দুই শতাধিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে ইরান। কিন্তু ইসরাইল এর বেশিরভাগই প্রতিরোধ করতে পারে। ফলে এবার , মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অত্যাধুনিক প্রযুক্তি দিয়েছে
সোমবার (২১ অক্টোবর) টাইমস অব ইসরায়েলের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের উন্নত THAAD ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ইসরায়েলে পাঠানো হয়েছে। এরই মধ্যে দেশে পৌঁছেছে। এটি ইতিমধ্যে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।
মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব এই উন্নত প্রযুক্তির প্রতিস্থাপনের ঘোষণা দিয়েছেন, কিন্তু এর বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দেননি।
তিনি বলেন, ইসরায়েলকে রক্ষা করতে পাঠানো THAAD একটি যুক্তরাষ্ট্রের অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার অংশ। এই ব্যবস্থা ইরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা থেকে রক্ষা করতে সক্ষম। তিনি বলেন, ইসরায়েলের সামরিক অভিযান ও আঞ্চলিক উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে এই ব্যবস্থাস্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে ।
এদিকে ইসরায়েল জানিয়েছে, বৈরুত ও দক্ষিণ লেবাননে তাদের বিমান হামলা বেড়েছে। লেবাননের সূত্র জানায়, হিজবুল্লাহ-সমর্থিত ব্যাংকের বেশ কয়েকটি শাখাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার মধ্যে দাহিয়া শহরে একটি বড় বিস্ফোরণের খবর রয়েছে।
গাজা উপত্যকায় চলমান সংঘাতের শুরু থেকেই যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের পাশে রয়েছে। ইসরায়েলকে অস্ত্র ও গোয়েন্দা সহায়তা প্রদান। ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে সাম্প্রতিক উত্তেজনা বৃদ্ধির সাথে সাথে আমেরিকা ইসরায়েলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অস্ত্র সরবরাহ বাড়িয়েছে।
উল্লেখ্য, THAAD একটি উন্নত ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা যা ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা প্রতিরোধ করতে সক্ষম। এটি যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী ব্যবহার করে। এই সিস্টেম উচ্চ উচ্চতায় ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করতে সক্ষম, শত্রুর ক্ষেপণাস্ত্র তাদের লক্ষ্যে পৌঁছানোর আগেই ধ্বংস করতে সক্ষম। এতে ট্রাক-মাউন্ট করা লঞ্চার, ইন্টারসেপ্টর মিসাইল, রাডার সিস্টেম এবং ফায়ার কন্ট্রোল উপাদান রয়েছে।
মার্কিন প্রযুক্তি থাড হাতে পাওয়ায় ইরানের হামলার বিরুদ্ধে ইসরায়েল নিজেদের আরও সুরক্ষিত করতে পারবে। কারণ এটি বড় এলাকা রক্ষা করতে পারে এবং অন্য প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা যেমন প্যাট্রিয়টের সাথে সমন্বিতভাবে কাজ করে।