Home নাগরিক সংবাদ শহীদ মিনারে শেষ শ্রদ্ধাঞ্জলির পর কুষ্টিয়ায় সমাহিত করা হবে ফরিদা পারভীনকে

শহীদ মিনারে শেষ শ্রদ্ধাঞ্জলির পর কুষ্টিয়ায় সমাহিত করা হবে ফরিদা পারভীনকে

1
0
photo collected

কিংবদন্তি লোকশিল্পী ফরিদা পারভীনের মরদেহ আজ সকাল ১০.৩০ টার দিকে শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নিয়ে যাওয়া হবে, যেখানে শিল্পী ও সহশিল্পীসহ সর্বস্তরের মানুষ তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে পারবেন।

ফরিদার স্বামী, বিশিষ্ট বাঁশিবাদক ওস্তাদ গাজী আব্দুল হাকিম হাসপাতালের সামনে সাংবাদিকদের জানান, তার মরদেহ প্রায় এক ঘন্টা শহীদ মিনারে রাখা হবে, যাতে মানুষ তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে পারে।

ফরিদার মরদেহ ভোরে ওছিন পাখি নামে একটি সঙ্গীত বিদ্যালয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল, যেখানে সকাল ৯:০০ টায় তেজগাঁও তাজকুনিপাড়া মসজিদে তার প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।

পরে, সকাল ১০:৩০ টার দিকে, মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নিয়ে যাওয়া হবে, যেখানে ভক্ত, সাংস্কৃতিক কর্মী এবং সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য এক ঘন্টা রাখা হবে।

এরপর, সকাল ১১:৩০ টায়, মরদেহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে আরেকটি জানাজার জন্য নিয়ে যাওয়া হবে। আনুষ্ঠানিকতা শেষে, এটি কুষ্টিয়ায় নিয়ে যাওয়া হবে, যেখানে তাকে শহরের পৌর কবরস্থানে তার বাবা-মায়ের পাশে সমাহিত করা হবে।

১৯৫৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর নাটোরের সিংড়ায় জন্মগ্রহণকারী ফরিদা পারভীন ১৯৬৮ সালে ১৪ বছর বয়সে পেশাদার সঙ্গীতে পা রাখেন। ৫৫ বছরের কর্মজীবনে, তিনি লালনের কালজয়ী গান, যার মধ্যে রয়েছে “খাচান ভেতরের ওছিন পাখি” এবং “বারির কাছে আরশিনগর”, তার প্রাণবন্ত পরিবেশনা দিয়ে শ্রোতাদের মুগ্ধ করেছিলেন।

লালনের গানের কথা ও সুর জনপ্রিয় করার ক্ষেত্রে ফরিদা পারভীনের অবদান সর্বজনস্বীকৃত। যদিও ফরিদা পারভীন নজরুল সঙ্গীত এবং পরে আধুনিক গান দিয়ে তার যাত্রা শুরু করেছিলেন, তিনি তার জীবনের বেশিরভাগ সময় লালন সাঁইয়ের গান গেয়ে কাটিয়েছেন।

লালন সাঁইয়ের ‘খাচান ভেতরে আছি পাখি’ অথবা ‘বারির কাছে আরশিনগর’-এর মতো জনপ্রিয় গানগুলি তার কণ্ঠ দিয়ে মানুষের হৃদয় ছুঁয়ে গেছে। শ্রোতারা তাকে সবচেয়ে বেশি ভালোবেসেছিল এবং তাকে ‘লালন কন্যা’ উপাধি দিয়েছিল।

ফরিদা পারভীন গত রাতে ৭১ বছর বয়সে শহরের একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here