ভারতের আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারতে থাকার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে! কূটনৈতিক সূত্রে এ খবর জানা গেছে। মঙ্গলবার ফের হাসিনার পাসপোর্ট বাতিল করেছে বাংলাদেশ।
দুই দিন আগে বাংলাদেশে আন্তর্জাতিকঅপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটি) ভারত থেকে ফেরার জন্য হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। হাসিনা ও তার সহযোগীদের ১২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ট্রাইব্যুনালের হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ভারতের একটি ঊর্ধ্বতন কূটনৈতিক সূত্র জানায়, মোদি সরকার সম্প্রতি ভারতে শেখ হাসিনার থাকার রেসিডেন্ট পারমিটের মেয়াদ বাড়িয়েছে।
তবে দিল্লির কূটনৈতিক সূত্রে দাবি করা হয়েছে,শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠানোর বিষয়টি ‘কূটনৈতিক’ নয়, ‘আইনি’। কোনও অন্তর্বর্তী সরকার অন্য রাষ্ট্রের স্থায়ী সরকারের কাছে কোনও রাজনৈতিক নেতার প্রত্যর্পণ চাইলে, তার সমস্ত আইনি দিক খতিয়ে দেখা প্রয়োজন বলেই বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে জানানো হয়েছে। ফলে, হাসিনাকে ফেরত চেয়ে বাংলাদেশের পাঠানো কূটনৈতিক বার্তার (নোট ভার্বাল) উত্তর অবশ্যই দেওয়া হবে ‘যথাসময়ে’। কিন্তু তার জন্য কোনও তাড়াহুড়ো করা হবে না।
ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশের বার্তার সমস্ত দিক খতিয়ে দেখে জবাব দিতে কয়েক মাসও লেগে যেতে পারে। আর এ কারণে ভারতে হাসিনার থাকার মেয়াদ বাড়ানো হয়।
জানা গেছে, দিল্লির ‘ফরেন রিজিয়নাল রেজিস্ট্রেশন অফিসের’ (এফআরআরও) মাধ্যমে আবেদন করিয়ে ভারতে থাকার কাগজ বৈধ করে নেয়া হয়েছে। তবে কত দিনের জন্য এই ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে, তা এখনো স্পষ্ট নয়।