ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করার পর রাজধানীসহ দেশের কোথাও যেন তারা কোনো কর্মকাণ্ড করতে না পারে সেজন্য প্রস্তুতি নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। নিষিদ্ধ হওয়ার ফলে সংগঠনটি সভা-সমাবেশ করতে পারবে না। এমনকি যদি বেশ কয়েকজন সদস্য মিলিত হলে তবে তাদের গ্রেপ্তার করা হবে।
নেতাকর্মীরা সভা-সমাবেশ করলে তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করা হবে।
উভয় আইনেই যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে। পুলিশ ও আইনজীবীদের সঙ্গে আলাপকালে এসব তথ্য জানা যায়।
১৫ আগস্ট আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করার দাবি ওঠে। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ছাত্র আন্দোলনের বৈষম্য বিরোধী সমাবেশে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করতে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হয় অন্তর্বর্তী সরকারকে।
পরদিন বুধবার সন্ধ্যায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে।
তদন্তে জানা যায়, ছাত্রলীগের নিষিদ্ধর পর থেকেই ছাত্রলীগের কর্মকাণ্ডের ওপর নজর রাখছেন গোয়েন্দারা। পুলিশও প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে তাদের দমনের। নিষিদ্ধের পর প্রতিক্রিয়া দেখাতে দেশের কোথাও তারা ঝটিকা মিছিল বের করে কি না তা নজরে রাখছেন গোয়েন্দা সংস্থা ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
এর প্রতিক্রিয়ায় ডিএমপির ডিসি (মিডিয়া) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, “নিষিদ্ধ সংগঠন হিসেবে তারা (ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা) সভা-সমাবেশ করতে পারবে না, করলে মামলা করা হবে। “
