২০২৫ সালের বার্ষিক গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ার পর্যালোচনার জন্য বিবেচিত ১৪৫টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ৩৫তম স্থানে রয়েছে। দেশটির PwrIndx (পাওয়ার ইনডেক্স) স্কোর ০.৬০৬২। ০.০০০ স্কোরকে ‘নিখুঁত’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
এশিয়ান দেশগুলির মধ্যে, সামরিক শক্তির দিক থেকে বাংলাদেশ বর্তমানে ৪৫টি দেশের মধ্যে ১৭তম স্থানে রয়েছে।
এশিয়ায় বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে থাকা দেশগুলি হল – রাশিয়া, চীন, ভারত, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া, ইসরায়েল, ইরান, তাইওয়ান, ভিয়েতনাম, সৌদি আরব, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর এবং উত্তর কোরিয়া। প্রতিবেশী মিয়ানমার ১৮তম স্থানে রয়েছে।
২০২৫ সালের তালিকা সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে যা এখন তাদের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাচ্ছে।
বার্ষিক গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ার পর্যালোচনায় বাংলাদেশ ২০২৪ সালে ৩৭তম এবং ২০২৩ সালে ৪০তম স্থানে ছিল।
Globalfirepower.com প্রতি বছর সামরিক সক্ষমতা সম্পন্ন দেশগুলির একটি তালিকা প্রকাশ করে, যা একটি নির্দিষ্ট দেশের পাওয়ারইনডেক্স স্কোর নির্ধারণের জন্য 60 টিরও বেশি স্বতন্ত্র বিষয় বিবেচনা করে, যার মধ্যে সামরিক ইউনিটের পরিমাণ এবং আর্থিক অবস্থা থেকে শুরু করে লজিস্টিকাল ক্ষমতা এবং ভৌগোলিক বিভাগ অন্তর্ভুক্ত থাকে।
সবচেয়ে কম স্কোর প্রাপ্ত দেশটি তালিকায় এগিয়ে রয়েছে।
সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুসারে, 0.0744 শক্তি সূচক নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তালিকার শীর্ষে রয়েছে, তারপরে রাশিয়া (0.0788), চীন (0.0788), ভারত (0.1184), দক্ষিণ কোরিয়া (0.1656), যুক্তরাজ্য (0.1785), ফ্রান্স (0.1878), জাপান (0.1839), তুরস্ক (0.1902) এবং ইতালি (0.2164)।
দক্ষিণ এশীয় দেশগুলির মধ্যে ভারত চতুর্থ স্থানে, পাকিস্তান ১২তম ৭ম স্থানে, মিয়ানমার ৩৭তম, শ্রীলঙ্কা ৬৯তম এবং নেপাল ১২৬তম স্থানে রয়েছে।
বিগত বছরগুলির মতো, ভুটান ৬,৩৯৩৪ শক্তি সূচক নিয়ে শেষ স্থানে (১৪৫তম) রয়েছে।
গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ারের সর্বশেষ তথ্য অনুসারে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে সক্রিয় সৈন্যের সংখ্যা প্রায় ১,৬০,০০০। ট্যাঙ্কের সংখ্যা ৩২০, সাঁজোয়া যানের সংখ্যা ১১,৫৮৪, স্ব-চালিত কামান ৫৬, টানা কামান ৫৪৬ এবং রকেট কামান ১১০।
অন্যদিকে, বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সদস্য সংখ্যা প্রায় ২৫,১০০। নৌবাহিনীর সাতটি ফ্রিগেট, ছয়টি করভেট, দুটি সাবমেরিন, ৬১টি টহল জাহাজ এবং পাঁচটি মাইন যুদ্ধ জাহাজ রয়েছে। তবে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর কোন ডেস্ট্রয়ার, বিমানবাহী রণতরী এবং যুদ্ধজাহাজ বহনকারী হেলিকপ্টার নেই।
গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার আরও জানিয়েছে যে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর সদস্য সংখ্যা প্রায় ১৭,০০০। বাহিনীর বিমানের সংখ্যা ২১৪টি। এর মধ্যে ৪২টি যুদ্ধবিমান, ৬৫টি হেলিকপ্টার, ১৭টি কার্গো বিমান এবং ৮৬টি প্রশিক্ষণ বিমান রয়েছে। এর পাশাপাশি, বিমান বাহিনীর বিশেষ অভিযানের জন্য চারটি বিমান রয়েছে।
বর্তমানে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধরত ইউক্রেন তালিকার ১৫তম স্থানে রয়েছে।