আগরতলার ত্রিপুরায় অবস্থিত বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় বাংলাদেশের লাল-সবুজ পতাকা ছিঁড়ে ফেলা হয়।
চট্টগ্রামের হাটহাজারী পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ও বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্রকে ,অবৈধভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এমন অভিযোগ তুলে ভারতের ডানপন্থি সংস্থা ‘হিন্দু সংগ্রাম স্মৃতি’ এ হামলা চালায়।
সোমবার (২ ডিসেম্বর) একটি শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ সার্কিট হাউসে মহাত্মা গান্ধী ভাস্কের্যের কাছে পৌঁছলে পুলিশ বাধা দেয়, ভারতের আঞ্চলিক মিডিয়া জানিয়েছে। একপর্যায়ে তারা পুলিশের ব্যারিকেট ভেঙ্গে বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনারের কার্যালয়ে প্রবেশ করে।
ঘটনার পর স্থানীয় প্রশাসন ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি সামাল দেয়। পশ্চিম ত্রিপুরার এসপি ড. কিরান কুমা এবং ডিজিপি অনুরাগ ধানকার ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
বিক্ষোভ চলাকালে ছয় সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনারের কাছে স্মারকলিপি পেশ করে।
এ সময় একজন বিক্ষোভকারী বলেন, চিন্ময় কৃষ্ণ দাস প্রভুর সাথে অমানবিক আচরণ করা হচ্ছে। তাকে খাবার পর্যন্ত দেওয়া হচ্ছে না। এটা সম্পূর্ণ অবৈধ এবং অগ্রহণযোগ্য।
বিক্ষোভকারীরা বলেন, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার হিন্দু নেতা ও ইসকন সদস্যদের অবৈধভাবে আটক করেছে। এটা সম্পূর্ণ বেআইনি ও অমানবিক। হিন্দু হিসেবে আমরা হিন্দুদের ওপর হামলা সহ্য করতে পারি না। আমরা অবিলম্বে তার মুক্তি দাবি করছি।
এদিকে ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনারের ওপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দিয়েছেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ। সোমবার রাত ৮টায় রাজু ভাস্করে প্রতিবাদ মিছিল বের হবে।
