নাটোরে বেগম খালেদা জিয়া মহাবিদ্যালয়সহ জেলার চারটি কলেজে এ বছর এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় একজন শিক্ষার্থীও পাস করেনি।
রাজশাহীর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে ফল প্রকাশের পর এ তথ্য জানান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শিক্ষা ও আইসিটি মো. রওশন আলী। এ ঘটনা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ওঅভিভাবকরা বিব্রত অবস্থায় পড়েছেন।
তবে এ বছর নাটোর জেলা থেকে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় মোট ১১ হাজার ৪৬৭ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয় এবং পাস করেছে ৮ হাজার ৯৯২ জন। আর জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১ হাজার ৪৬৩ জন শিক্ষার্থী। জেলায় পাসের হার ৭৮ দশমিক ৪২ শতাংশ।
মঙ্গলবার সকাল ১১টায় রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে ফলাফল ঘোষণার পর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) এ তথ্য জানান। রওশন আলী।
বেগম খালেদা জিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য ইব্রাহিম খলিল বলেন, নাটোর সদর উপজেলা হয়বতপুরে ২০০১ সালে কলেজটি প্রতিষ্ঠিত হয়। শুধু নামের কারণেই কলেজটি অনেক বিরম্বনায় পড়তে হয়েছে। এখনো এমপিওভুক্ত হয়নি। প্রতি বছর পাসের সংখ্যা আশানুরূপ থাকতো। এ বছর পাঁচজনের মধ্যে চারজন পরীক্ষা দিয়েছেন। তারা কেউ নিয়মিত ক্লাস করত না। যাদের কেউই কৃতকার্য হতে পারেনি।
এ ছাড়া দুর্গাপুর স্কুল ও গুরুদাসপুর উপজেলা কলেজ অন্য প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যর্থ হয়েছে। পরীক্ষায় অংশ নেয় ছয়জন শিক্ষার্থী। নলডাঙ্গা উপজেলার সরকোতিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ২ জন বাগাতিপাড়া উপজেলার তমালতলা উইমেন্স কলেজ থেকে দুজন শিক্ষার্থী এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করলেও কেউ পাস করেনি।
নাটোর জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শাহাদুজ্জামান জানান, চারটি প্রতিষ্ঠানের একজন শিক্ষার্থীও পাস করতে পারেনি। এসব প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের ডেকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ন্যাটোর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. রওশন আলী ব্যাখ্যা করেছেন কেন জেলার চারটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের একজনও পাস করতে পারেনি কেন। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।