রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আবু সাঈদ হত্যা মামলার আসামি এসআই মোহাম্মদ আমির আলী ও সুজন চন্দ্র রায়কে চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর রামপুর জেলা আদালত-২-এর বিচারক আসাদুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন।
এর আগে সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) এএসআই আমির আলী ও কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়কে গ্রেফতার করে পিবিআই।
এ ঘটনায় রংপুর থানার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু বকর সিদ্দিক বাদী হয়ে গত ২৮ আগস্ট ছাত্র আবু সাঈদের মৃত্যুর ঘটনায় তাজাত থানায় মামলা দায়ের করেন এবং মামলার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে জানান। এ মামলার আসামিরা হলেন- ড. মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার মতামত নিতে আইনগত ব্যবস্থা নিতে সোমবার (১৮ শাহরিবর) আমির হোসেন ও কনস্টেবল সুজনকে পুলিশ তদন্ত বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়। আবু সাইদ মামলার তদন্ত করছে পিবিআই।
রামপুর পুলিশের তদন্ত বিভাগের সুপার মোহাম্মদ জাকির হুসেন জানান, ঘটনার পর আমির আলী ও পুলিশ কর্মকর্তাকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যায় তাদের আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছে মেট্রোপলিটন পুলিশ।
এর আগে গত ৩ আগস্ট দুই পুলিশ কর্মকর্তা এএসআই আমির আলী ও কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়কে বরখাস্ত করা হয়।
উল্লেখ্য, ১৬ জুলাই দুপুর আড়াইটায় ছাত্র বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সময় আবু সাইদ দুই হাত তুলে বলেছিলেন, “ওকে মারবেন না, আমাকে গুলি কর। এরপর পুলিশ বেশ কয়েকটি গুলি চালায়।” শট রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে আবু সাইদ মারা যান।
আবু সাইদ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বাদশ শ্রেণির ইংরেজির ছাত্রী ছিলেন। আবু সাঈদ রংপুরের পীরগঞ্জের মদনখালী ইউনিয়নের জাফর পাড়ার বাবুনপুর গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে।