খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) জুলাই বিপ্লবের সময় লেখা গ্রাফিতিগুলো মুছে ফেলেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ ঘটনায় কুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, গ্রাফিতি মুছে শিক্ষার্থীদের রক্তের দাগ মোছা যাবে না। ঈদের পরই ‘নব্য ফ্যাসিবাদবিরোধী’ আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
শিক্ষার্থীরা বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকার জুলাই আন্দোলন দমনে বিগত ১৬ বছরের সব স্বৈরাচারী অস্ত্র ব্যবহার করেও ব্যর্থ হয়েছে।
কিন্তু কুয়েট প্রশাসন জুলাই আন্দোলনের ৬ মাস পর আবারও শিক্ষার্থীদের ওপর একই স্বৈরাচারী অস্ত্র ব্যবহার করছে, তারা ব্যর্থ হবেই হবে।
কুয়েটের পাঁচ হাজারের অধিক শিক্ষার্থী ঐক্যবদ্ধ আছি উল্লেখ করে সাম্প্রতিক এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘কুয়েটের শিক্ষার্থীদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে থাকা আন্দোলন আমরা কেউ ব্যর্থ হতে দেব না। আমাদের ভাইয়ের রক্তের হিসাব আমরা নিয়েই ছাড়ব।’
এক শিক্ষার্থী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘গোয়েন্দা সংস্থা দিয়ে যারা এসব গ্রাফিতি লিখেছিল তাদের খোঁজা হয়েছিল। ৫ আগস্ট না এলে তারা হয়তো আজ বেঁচে থাকতো না। আর আপনারা কত হাসিখুশিতে এসব গ্রাফিতি মুছে দিচ্ছেন। লজ্জা!’
এ ব্যাপারে কুয়েটের সহকারী পরিচালক (ছাত্র কল্যাণ) সহকারী অধ্যাপক রাজু আহমেদ বলেন, মূলত গ্রাফিতি মুছে ফেলার জন্য নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের রুটিন পরিচ্ছন্নতার অংশ হিসেবেই দেয়ালগুলোতে রং করা হয়।