ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পর গাজা উপত্যকায় মানবিক সাহায্যেরপ্রবেশ করতে শুরুর করেছে। তবে যে পরিমাণ সহায়তা সেখানে প্রবশে করেছে তা প্রয়োজনের তুলনায় সামান্যই বলা যায়। আল জাজিরার খবর।
গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গতকাল গাজা উপত্যকায় ধ্বংসস্তূপ থেকে আরও ৬৬টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এর আগে হামাস তিন জিম্মির নাম ঘোষণা করার পর যুদ্ধবিরতি শুরু হয় যাদের মুক্তি দেওয়া হবে।
চুক্তিটি রোববার (১৯ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৮টায় (বাংলাদেশ সময় দুপুর সাড়ে ১২টায়) কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় বলেছে যে তিনি যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার জন্য হামাসের কাছ থেকে জিম্মিদের একটি তালিকা পেতে ইসরায়েলি বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন।
পরে হামাসের পক্ষ থেকে বলা হয়, ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে যে কোনো সময় জিম্মিদের তালিকা হস্তান্তর করা হবে। তবে গাজায় জটিলতা এবং ইসরায়েলি বোমা হামলা যুদ্ধবিরতি বিলম্বিত করছে।
যুদ্ধবিরতি আলোচনায় জড়িত একজন কাতারি কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন জিম্মিদের মধ্যে যাদের মুক্তি দেওয়া হবে তাদের নামের তালিকা প্রকাশ করা হবে।
গাজা উপত্যকায় হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, এখন পর্যন্ত সেখানে৪৭ হাজার ৩৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এছাড়াও, আরও ১ লাখ ১১ হাজার ৯১ ফিলিস্তিনি। নিহতদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।