দেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে আবারো মৃদুশৈত্যপ্রবাহে কাঁপছে । সকাল ৬টায় মঙ্গলবার তেঁতুলিয়া জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাই শীতকালে এই শহরের অবস্থা খুবই খারাপ। লোকজন খরকুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন।
এদিকে উত্তরের বাতাসে প্রচণ্ড ঠান্ডায় দিনমজুররা কাজে যেতে পারছে না। এ ছাড়া শীতজনিত অসুস্থতায় হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, শীতের কারণে সর্দি, জ্বর, কাশি, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্ট বেড়েছে। শীতের সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে শীতজনিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যা। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়ছে শিশু ও বৃদ্ধরা। পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ৬৬ শিশুর বেশির ভাগই শীতের অসুস্থতায় ভুগছে।
পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. মনোয়ার হোসেন বলেন, শীতের কারণে শিশুরা বেশি অসুস্থ হয়। তাই শীতে সন্তানদের সুরক্ষায় অভিভাবকদের নজর দিতে হবে।
তেতুঁলিয়া প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত সহকারী কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায় বলেন,, “হিমালয়ের নিকটবর্তী হওয়ার কারণে তেতুলিয়া কঠোর শীত অনুভব করে। আজ সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।” তখন আর্দ্রতা ছিল ৯৯ শতাংশ। গতকাল সকাল ৯টায় তাপমাত্রা ছিল ১২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামীতে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।