ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের ৯ জন সাবেক মন্ত্রী সহ ১২ জন আসামীকে জুলাই এবং আগস্টে গণহত্যার সাথে সম্পর্কিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে। সোমবার সকালে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থায় তাদের ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। কিন্তু অসুস্থতার কারণে সাবেক কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাককে ট্রাইব্যুনালে হাজির হননি।
হাজির করা আসামিদের মধ্যে আনিসুল হক, সাবেক পাঠ ও বস্ত্র মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, সাবেক বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খান, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনি, রাশেদ খান মেনন,সাবেক নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খানকে,সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, শেখ হাসিনার উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী (বীর বিক্রম), সাবেক বিচারপতি এইচ এম শামসুদ্দীন চৌধুরী মানিক ও সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব জাহাঙ্গীর আলম রয়েছেন।
নিরস্ত্র ছাত্রদের জনতাকে সমূলে বা আংশিক নির্মূলের লক্ষ্যে হত্যা, গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গত ১৭ অক্টোবর ট্রাইব্যুনাল সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সাবেক মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।
এরপর গত ২৭ অক্টোবর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে পতন হওয়া আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক, দুই উপদেষ্টা, একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারক এবং একজন আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক সচিবসহ এই মামলায় মোট ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। . মানবতার বিরুদ্ধে (শোন এরেস্ট) ১৮ নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
সাবেক এডিসি আরাফাতুল ইসলাম, যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসান এবং গুলশান থানার সাবেক ওসি মাজহারুল ইসলাম ,সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন, বরখাস্ত মেজর জেনারেল (অব.) জিয়াউল আহসান, সাবেক ঢাকা জেলার এডিসি আব্দুল্লাহ হিল কাফী ২০ নভেম্বর ট্রাইব্যুনালে হাজিরা দেবেন।