Home বাংলাদেশ ৯ থেকে ১০ মাস সময় লাগবে নতুন ভোটার তালিকা করতে

৯ থেকে ১০ মাস সময় লাগবে নতুন ভোটার তালিকা করতে

2
0

অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সম্পর্কে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসকে অবহিত করেছে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়। ড. ইউনূসকে জানানো হয়, সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রথম ধাপ হবে যথাযথ ভোটার তালিকা প্রণয়ন করা। এটি ৯ থেকে ১০ মাস সময় লাগতে পারে।নির্বাচন আয়োজন সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

গতকাল অন্তর্বর্তী সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেন, নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য একটি সার্চ কমিশন গঠন করা হয়েছে। যতদূর আমি জানি, এপ্রধান উপদেষ্টা এই বিষয়ে প্রজ্ঞাপন সই করে দিলেই আজ-কালের মধ্যে আপনারা এটি জানতে পারবেন। সার্চ কমিটি হয়ে গেলে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হবে

ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন কমিশন পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হলে ২০২৫ সালের শেষ নাগাদ ভোটার তালিকা তৈরি করা সম্ভব ।

তথ্য সংগ্রহ করতে কমপক্ষে এক মাস, নিবন্ধন – সাত থেকে আট মাস, একটি তালিকা তৈরি করতে – ১৫ দিন, ভোটারদের মতামত এবং আপত্তি খুঁজে পেতে – আরও ১৫দিন সময় লাগে।
সংবিধানের ১১৯ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, নির্বাচন কমিশন রাষ্ট্রপতি ও সংসদ নির্বাচনের জন্য ভোটার তালিকা প্রস্তুত, তত্ত্বাবধান, নির্দেশনা ও নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের।

নির্বাচন কর্মকর্তারা বলছেন, একটি স্বচ্ছ নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে একটি নতুন ভোটার রেজিস্টার তৈরি করতে চায় অন্তর্বর্তী সরকার। নির্বাচনী তালিকা আইন ২০০৯ অনুযায়ী, এই তালিকা প্রতি বছর হালনাগাদ করা হয়।
তবে জনগণের চাহিদার কথা মাথায় রেখে ভিন্ন পন্থা নিতে চায় সরকার।
নির্বাচনী তালিকা আইন ২০০৯ অনুসারে, এই বার্ষিক হালনাগাদ প্রতি বছর ২ জানুয়ারী এবং ২ মার্চের মধ্যে বাধ্যতামূলক৷ তবে, বিশেষ সংশোধনের এখতিয়ার রয়েছে নির্বাচন কমিশনের। সে হিসাবে, আগামী বছরের ২ মার্চের মধ্যে হালনাগাদ ভোটার তালিকা চূড়ান্ত করতে আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে নির্বাচন কমিশনের।
বর্তমানে বাংলাদেশে নিবন্ধিত ভোটারের সংখ্যা ১২ কোটি ১৮ লাখ, যার মধ্যে পুরুষ প্রায় ছয় কোটি ২১ লাখ, নারী পাঁচ কোটি ৯৭ লাখ এবং তৃতীয় লিঙ্গের ৯৩২ জন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here