ঝালকাটির নলছিটিতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রদলের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের পাঁচ নেতাকর্মী আহত হন। বুধবার (২৩ অক্টোবর) রাতে শহরের বাস স্টেশন এলাকায় তিনটি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার (২৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় নগরীর বাসস্ট্যান্ডে উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব সুজন খানের সঙ্গে যুগ্ম নেতা আদিব হাসানের কথা কাটাকাটি হয়। এএ নিয়ে দুইপক্ষ উত্তেজিত হলে সদস্য সচিব সুজন খানের ছোটভাই রায়হানকে মারধর করে যুগ্ম আহ্বায়ক হাসানের নেতৃত্বে ছাত্রদলের একপক্ষ। এ ঘটনার জের ধরে রাতে সুজন খানের নেতৃত্বে ছাত্রদলের অপর পক্ষের একটি বাসস্টপে ছাত্রদলের সংগঠক সাইদুল ইসলাম রনিসহ কয়েকজনের ওপর হামলা চালায়। এ ঘটনা জানার পর রনি সহ-সংগঠক আদিব হাসান সাইদুল ইসলামের নেতৃত্বে ছাত্রদলের সঙ্গে যোগ দেন। তারা সুজনের সঙ্গে থাকা লোকজনের ওপর হামলা চালায়। উভয়পক্ষের তিন দফা সংঘর্ষে নলছিটি ডিগ্রি কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সাব্বির আহম্মেদ ও পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক হিরাসহ পাঁচজন আহত হয়। আহতদের মধ্যে সাব্বিরকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে ছাত্রদলের উপজেলা সদস্য সচিব সুজন খান অভিযোগ করে বলেন, পুরনো বিরোধের জের ধরে সাইদুল ইসলাম রনি ও আদিব হাসানের নেতৃত্বে সন্ত্রাসী বাহিনী আমাদের ওপর হামলা চালায়। এতে আমার ভাইসহ তিনজন আহত হয়।
উপজেলা ছাত্রদলের সংগঠক সাইদুল ইসলাম রনি বলেন, আগে কী হয়েছে জানি না। অনুষ্ঠানের মধ্যাহ্নভোজ শেষে মোটরসাইকেলে বাসস্টপে পৌঁছলে সুজনের নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন আমাদের ওপর হামলা চালায়। আমার শরীরেও ঘুষি মারে এবং হিরাকে মারধর করে।
ঝালকাঠি ছাত্রদলের জেলা সাধারণ সম্পাদক সরদার দিপু বলেন, আমি শুনেছি মারামারি হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
