একদিনে অন্তত ৫০০ রোহিঙ্গা সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। এর আগে, শুক্রবার আরও ২০০ জন সীমান্ত পেরিয়ে কক্সবাজারে প্রবেশ করেন। গত দুই সপ্তাহে অন্তত ৮ হাজার রোহিঙ্গা উখিয়া ও টেকনাফ সীমান্ত অতিক্রম করেছে। শনিবার নাফ নদীর বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে এসব রোহিঙ্গা বাংলাদেশের সীমান্ত অতিক্রম করে।
সীমান্ত এলাকার বাসিন্দা এবং প্রতিনিধিদের মতে, বাংলাদেশের টেকনাফ জেলা রাখাইন রাজ্যের মংডু জেলার পশ্চিমে চার কিলোমিটার প্রশস্ত নাফ নদীর তীরে অবস্থিত। রাতের অন্ধকারে মংডু জেলার সোদাপাড়া, ফৈজিপাড়া, সিকদারপাড়া ও নুরলাপাড়া গ্রাম থেকে রোহিঙ্গারা নাফ নদী পার হয়ে বাংলাদেশে ঢুকছেন। অধিকাংশ রোহিঙ্গা সীমান্তের ওপার থেকে জাদিমোরা, দমদমিয়া, কেরুনটারী, বরইতলী, নাইথনপাড়া, জালিয়াপাড়া, নাজিরপাড়া, মৌলভীপাড়া, নয়াপাড়া, শাপরী দ্বীপ, জালিয়াপাড়া, মিস্ত্রিপাড়া, ঘোড়ালচর, খুরেলমুখ, আলিলু ডেলে, মহেশখড়িয়াপাড়া, রামব্রিজা, তুলাতরিয়ায় বসবাস করে। সৈকত
টেকনাফের জেলা প্রধান আদনান চৌধুরী বলেন, সীমান্তের বিভিন্ন এলাকা থেকে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঘটছে। নাফ নদী আক্রমণের সময় অনেক রোহিঙ্গাকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়। জলাবদ্ধতা রোধে নাফ ও মারজ নদীতে টহল জোরদার করা হয়েছে।
টেকনাফে আশ্রয়শি বিরের শিবিরের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন ১৬ (এপিবিএন) এর ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট মায়েন ওডিন বলেন, কিছু রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রবেশ করেছে। আপনি পর্যবেক্ষণে আছেন। রোহিঙ্গাদের পুনরায় অনুপ্রবেশ ঠেকাতে উচ্ছেদ ক্যাম্পগুলোতে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।