হামলাকারীদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তারআশ্বাসে আগামীকাল সোমবার রাত ৮টা পর্যন্ত পুরো কর্মবিরতি স্থগিত করেছেন।
রোববার বিকেলে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম আন্দোলনকারীদের এ আশ্বাস দেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ অব সার্জারির (ডিএমএস) তিন চিকিৎসককে মারধরের ঘটনায় হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচার, নিরাপদ কাজ ও চার চিকিৎসকের দাবিতে আজ বেলা ২টার দিকে সারাদেশের সব চিকিৎসা কেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা করে চিকিৎসকরা। হাসপাতাল। তারা এই প্রোগ্রামটিকে “টোটাল শাটডাউন” বলে।
ডিএমকে হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের সহকারী চিকিৎসক আব্দুল আহাদ এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
গত শনিবার রাতে ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভাঙচুর ও চিকিৎসকদের মারধর করা হয়। হামলার বিচার ও নিরাপত্তার দাবিতে আজ সকাল থেকে ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা বন্ধ রেখেছেন চিকিৎসকরা। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সব চিকিৎসকের সঙ্গে আলাপ করলেও কোনো ফল হয়নি। এর পরিপ্রেক্ষিতে সারা দেশে ধর্মঘটের ডাক দেন চিকিৎসকরা।
আজ বেলা 16টার দিকে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সমন্বয়কদের কথা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নুরজাহান বেগম, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ পরামর্শক ডা.
শনিবার সকালে ডিএমকে হাসপাতালে চিকিৎসকদের অবহেলার কারণে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস টেকনোলজির (বিইউবিটি) ছাত্র আহসানুল হক দীপ্তর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। পরে হাসপাতালের নিউরো সার্জিক্যাল বিভাগের তিন চিকিৎসককে মারধর করা হয়। ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ দেখার পর চিকিৎসকরা দোষীদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে আল্টিমেটাম দেন।
একই দিন খিলগাঁওয়ের সিপাহীবাগ এলাকায় দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহতরা চিকিৎসার জন্য সেখানে যান। এরপর চাপাতি নিয়ে আরেকটি দল হাসপাতালের জরুরি কক্ষে প্রবেশ করে। এরপর কর্তৃপক্ষ চারজনকে আটক করে সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করে।
পরে আরেক রোগীর মৃত্যুর পর রোগীর স্বজনরা হাসপাতালের কেন্দ্রীয় জরুরি বিভাগ ধ্বংস করে দেয়। এ কারণে নিরাপত্তার আশঙ্কায় চিকিৎসকরা জরুরি কক্ষটি বন্ধ করে দেন। ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম শেষ হওয়ার আগেই তারা ধর্মঘটে চলে যায়।
এদিকে ঢামেক হাসপাতালের নিউরো সার্জারি বিভাগের তিন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে রাজধানীর শাহবাগ থানায় লাঞ্ছিত ও ভাংচুরের মামলা দায়ের করা হয়েছে।






















































