কুমিল্লায় গোমতী নদীর বাঁধ ভেঙ্গে যাওয়া, ভারত থেকে ভারী বর্ষণ ও টানা বর্ষণে আকস্মিক বন্যায় কুমিল্লার পরিস্থিতি স্বাভাবিক নয়। এ জেলার ১৪টি জেলার বিভিন্ন এলাকায় বন্যার আট দিন পেরিয়ে গেলেও ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পানি বন্ধ হয়নি। তবে উজানে পানির পরিমাণ কিছুটা কমেছে।
কুমিল্লা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) প্রধান প্রকৌশলী খান ড. ওয়ালিউজমান এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, উজান থেকে পানির প্রবাহ কিছুটা কমে গেলেও পুরোপুরি বন্ধ হয়নি। গোমতীর পানি বিপৎসমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, কুমিল্লা জেলার বান নদীর পানির উচ্চতা কিছুটা কমলেও মানুষের দুর্ভোগ বাড়ছে।
এদিকে পানিতে ভাসছে ক্ষতিগ্রস্ত সড়কের ছবি। তার ওপর দিয়ে প্রবল পানি প্রবাহিত হওয়ায় অধিকাংশ সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
প্রবল স্রোতের কারণে সৃষ্ট পানির চাপে ভবনটি বিভিন্ন স্থানে ধসে পড়ে, রাস্তায় গড়িয়ে পড়ে এবং ধসে পড়ে। দেখা যায়, প্রতিটি ইউনিয়নের রাস্তাঘাট কমবেশি ক্ষতিগ্রস্ত। ভূমিধসের কারণে সড়কের কিছু অংশে গাড়ি চলাচল বন্ধ রয়েছে।
এই জেলায় বিভিন্ন বন্যা দেখা দেয় এবং বন্যার পানি ধীরে ধীরে কমতে থাকে। প্রসঙ্গত, ২২শে আগস্ট দুপুর সোয়া ১২টার দিকে ব্রিচন জেলার সোনার ইউনিয়ন বুলবুলিয়া এলাকায় গোমতী নদী রক্ষা বাঁধ ভেঙে পানি এখনো স্রোতের মতো ওই এলাকায় প্রবাহিত হচ্ছিল। ব্রিখন ও পার্শ্ববর্তী ব্রাহ্মণপাড়া এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি সংকটাপন্ন।
অন্যদিকে গোমতী নদীর পানি সীমানা রেখার ৬৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।